অবস্থান কর্মসূচি থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানায় এবার আমরণ অনশন শুরু করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কার হওয়া দুই শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে গত রোববার সন্ধ্যা সাতটা থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে একই স্থানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তাঁরা।
ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন বাংলা ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ওরফে নোমান এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ইমামুল হোসেন। শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন কারণে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড। ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা কর্মসূচি শুরু করেছেন।
আজ ওই দুই শিক্ষার্থীর কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে দুপুরের দিকে ওই দুই শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন খুলনার বিভিন্ন নাগরিক নেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মী-সংগঠকেরা।
ওই দুই শিক্ষার্থী বলছেন, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন কর্মসূচি পালন করে যাবেন। এতে যদি তাঁদের মৃত্যুও হয়, তাতেও তাঁরা পিছপা হবেন না।
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে নিয়ম অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে আত্মপক্ষ সমর্থন করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মোবারক ও ইমামুল বলছেন, যেহেতু তাঁরা কোনো অপরাধ করেননি, সে কারণে তাঁদের আবেদন করার প্রশ্নই আসে না।
এর আগে গত শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন মোবারক ও ইমামুল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই দাবি না মানায় পরে রোববার তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি কমানো, আবাসন সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে শত শত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিষ্কার হওয়া মোবারক ও ইমামুল আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। ওই সময় দুই শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণ করার অভিযোগ তোলা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলন মোবারক ও ইমামুল তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও প্রহসনমূলক বলে উল্লেখ করেন।