বসুরহাটে হচ্ছেটা কী: হাইকোর্ট

বসুরহাটে সংঘর্ষের সময় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল।
ফাইল ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে পৃথক মামলায় ১০৭ জনকে আগাম জামিন দেওয়ার সময় হাইকোর্ট বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে হচ্ছেটা কী?

আগাম জামিন চেয়ে করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই ১০৭ জনকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের এ নেতা–কর্মীরা আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আগাম জামিনের আবেদন জানান।

মারপিটের অভিযোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের করা এক মামলায় বর্তমান মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত আইয়ুব আলীসহ ৯ সমর্থকের পক্ষে একটি জামিন আবেদন করা হয়। আদালতে তাঁদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ ও সুমন বণিক।

অন্যদিকে বসুরহাট পৌরসভা ও বাজারে হামলা, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা পৃথক তিন মামলায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানসহ ৯৮ জন আগাম জামিন চেয়ে পৃথক ২১টি আবেদন করেন। আদালতে তাঁদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও আইনজীবী মোনায়েম নবী।

পরে আইনজীবী মোনায়েম নবী প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে ৮ মার্চ, ১০ মার্চ ও ১১ মার্চ প্রতিপক্ষের সমর্থকেরা পৃথক তিনটি মামলা করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই তিন মামলায় ৯৮ জনকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের পর নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

আইনজীবীর তথ্যমতে, ৯৮ জনের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু ও ফখরুল ইসলাম রাহাত, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী, ছাত্রলীগ সভাপতি নাজিম উদ্দিন মুন্না, সাধারণ সম্পাদক শাহ পরান লিংকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, চর এলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক রয়েছেন।