বরিশাল বিভাগে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এক দিনে এই বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে এটাই সর্বোচ্চ। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো নমুনা পরীক্ষার পর মঙ্গলবার বিকেলে সেখান থেকে এই তথ্য বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
এ নিয়ে এই বিভাগের ছয় জেলার ভোলা বাদে পাঁচ জেলায় করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮ জনে। আর করোনা শনাক্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা চার। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের মতো উপসর্গ নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন ৭ জন।
মঙ্গলবার হাতে পাওয়া আইইডিসিআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত ১৯ জন বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার। এর মধ্যে বরিশালে নতুন আক্রান্ত সাতজনসহ মোট আক্রান্ত ৩১ জন, বরগুনায় নতুন আক্রান্ত চারজনসহ ১৭ জন এবং পটুয়াখালীতে নতুন আক্রান্ত ৮ জনসহ মোট ১০ জন। বরিশালে নতুন আক্রান্তের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্ত ৩১ জনের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল কলেজের ছাত্র ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীর সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়াল।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান এবং বরগুনা ও পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনেরা নতুন এসব আক্রান্ত ব্যক্তিদের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানায়, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের করোনা পরীক্ষাগারে মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলে বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই প্রতিবেদন মঙ্গলবার রাতে পাওয়া যাবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বরিশালে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৯ এপ্রিল পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়। তিনি নারায়ণগঞ্জফেরত একজন শ্রমিক। নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আগেই তিনি মারা যান। আর বরিশাল জেলায় প্রথম করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয় গত ১২ এপ্রিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৩ দিনে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে কেবল ভোলায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। বাকি পাঁচ জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে বরিশালে ৩১ জন, বরগুনায় ১৭ জন, পটুয়াখালীতে ১০ জন, পিরোজপুরে ৫ জন, ঝালকাঠিতে ৫ জন। এ ছাড়া করোনা শনাক্ত হয়ে এই বিভাগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন। এর মধ্যে বরগুনা দুজন এবং পটুয়াখালী ও বরিশালে একজন করে।