বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটা এই বিভাগে ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২৭ মে ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ নিয়ে এই বিভাগে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৫৯ জনে।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ভোলা জেলায় একজন করোনাভাইরাস পজিটিভ রোগী মারা গেছেন। এ নিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আর করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে গত ২৮ মার্চ থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ৩৪ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৮ জন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
নতুন আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে সাত জন পুলিশ ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন জন নার্স রয়েছেন।
এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশের ৩৮ জন ও পুলিশ পরিবারের তিন জন রয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী রয়েছেন ৫৩ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত বরিশাল জেলায় ১৪ জন। এছাড়া ভোলা জেলায় নয় জন ও পটুয়াখালী জেলায় চার জন আক্রান্ত হয়েছেন। হঠাৎ করে গত দুদিন ধরে ভোলায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভোলায় ১০ জন রোগী শনাক্ত হয়। এটা ভোলা জেলায় ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ভোলায় করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ভোলায় এটা প্রথম কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু।
এ নিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ জনে। তাঁদের মধ্যে ভোলা ছাড়া বাকি নয়জনের তিনজন পটুয়াখালীর, দুজন বরগুনার, দুজন ঝালকাঠির এবং বরিশাল ও পিরোজপুরের একজন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় প্রত্যেকের উচিত সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। সেটা পরিবারের মধ্যেও চালু করা। ব্যক্তিগত সুরক্ষার অভ্যাস গড়ে তোলা। স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে উদাসীনতা দেখালে কিছুতেই পরিস্থিতির ভয়াবহতা রোধ করা সম্ভব হবে না। এজন্য সবার উচিত সব সময় মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করা। আর এটা অভ্যাসে পরিণত করে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা।