বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে ৭ সদস্যের পদত্যাগ

বিএনপির লোগো
বিএনপির লোগো

বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থেকে সাত সদস্য পদত্যাগ করেছেন। ওই কমিটির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান ওরফে নান্টুর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, খামখেয়ালিপনা ও অমানবিক আচরণের অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে এ পদত্যাগপত্র পাঠান তাঁরা।

পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আলম মিঞা, বানারীপাড়া পৌর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মো. আহসান কবির, উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন আহম্মেদ, পৌর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, বানারীপাড়া উপজেলা মহিলা দলের সদস্য ডেইজি আক্তার ও গোলাম মাহবুব মাস্টার।

এ ছাড়া সিঙ্গাপুর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ওই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ (সান্টু)। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য।

পদত্যাগপত্রে তাঁরা উল্লেখ করেন, গত নভেম্বরে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে মজিবুর রহমান (নান্টু) নানা ধরনের স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। খেয়ালখুশি মতো দলের বিভিন্ন স্তরের কমিটি বিলুপ্ত করছেন। এতে দলের সব পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পদত্যাগকারী মো. আহসান কবির আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ছিলাম। এর মধ্যে আমাকে না জানিয়ে গত শুক্রবার বানারীপাড়ায় এসে পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে দেন মজিবুর রহমান । সম্পূর্ণ খামখেয়ালি করে তিনি দল চালাচ্ছেন। আমরা এ ঘটনার প্রতিকার চাইলেও কোনো সমাধান পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেছি।’

পদত্যাগকারী একাধিক নেতা জানিয়েছেন, গতকাল বেলা একটার দিকে বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে মুঠোফোনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সরফুদ্দিন আহমেদ । এ সময় উপজেলা ও পৌর বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে শরফুদ্দিন আহম্মেদ দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দলের গঠনতন্ত্র ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী সব করেছি। ৩ জুলাই জেলা বিএনপির ১৯ নেতাকে নিয়ে বানারীপাড়া বিএনপির কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত সভা করতে যাই। কিন্তু সেখানে তাঁরা তালা লাগিয়ে দিয়ে আমাদের সভা করতে দেননি। তাঁদের ভাষ্য, সরফুদ্দিন সান্টুর অনুমতি ছাড়া দলীয় কার্যক্রম চালানো যাবে না। একটি দল তো কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছায় চলতে পারে না।’

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে কেন্দ্র থেকে বরিশাল মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। গত ২২ জানুয়ারি বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল মহানগর বিএনপির ৪২ ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৪৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।