বরিশালে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

ছুরিকাঘাত
প্রতীকী ছবি

বরিশাল নগরের বিমানবন্দর থানায় বাঘিয়া এলাকায় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম দিপু হালদার (৩৮)। তিনি কাশীপুরের বাঘিয়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রমেন্দ্রনাথ হালদারের সন্তান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে আটটার দিকে হওয়া এ ঘটনায় ডেভিড মিস্ত্রি নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঘিয়া শ্রী শ্রী কালীমাতা মন্দির এলাকার ডেভিড মিস্ত্রি ওরফে কুডু মিস্ত্রি গতকাল সকাল আটটার দিকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে যান। সেখানে তিনি সবাইকে গালাগাল করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা দিপু হালদার তাঁকে গালাগাল করতে নিষেধ করেন এবং চায়ের দোকান থেকে চলে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সময় দিপু হালদারকে কোপানোর হুমকি দেন ডেভিড মিস্ত্রি। এরপর রাত সাড়ে আটটার দিকে দিপুর ওপর হামলা চালিয়ে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন এ সময় ডেভিডকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন এবং আহত অবস্থায় দিপুকে বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাত ১০টার দিকে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোফাজ্জেল আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, পেটে ছুরিকাঘাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে দিপুর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। ময়নাতদন্তে এর কারণ জানা যাবে।
দিপুর হালদারের ছোট ভাই সজল হালদার বলেন, ‘দিপু হালদারকে ছুরিকাঘাতে যারা হত্যা করেছে, তারা দলে ছয়-সাতজন ছিল। এর মধ্যে ডেভিড মিস্ত্রিকে আটক করতে পারলেও অন্যরা পালিয়ে গেছে। কি কারণে তাঁকে কুপিয়ে জখম করে হত্যা করেছে, তা আমরাও জানি না।’

বরিশাল বিমানবন্দর থানার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় ডেভিড মিস্ত্রিকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক ডেভিড মিস্ত্রিও আহত। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।

দিপুর মৃত্যুতে বাসদের শোক

বাসদ বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান হাবিব ও সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী আজ এক যৌথ বিবৃতিতে দিপু হালদারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। সংগঠনটি জানিয়েছে, দিপু হালদার বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড সংগঠক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন।