বরিশালে একজন চিকিৎসক, একজন নার্স, একজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট পাঁচজন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে তাঁদের নমুনা পরীক্ষার পর গতকাল সোমবার রাতে প্রতিবেদন হাতে পাওয়া যায়।
আক্রান্ত পাঁচজন হচ্ছেন গৌরনদী, আগৈলঝাড়া ও বাবুগঞ্জের। তাঁরা সবাই বাড়িতে আলাদাভাবে চিকিৎসাধীন।
এর বাইরে ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা শেষে গৌরনদীর আরও এক নারীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবেদন এসেছে। এ নিয়ে বরিশালে গতকাল ছয়জন করোনা–আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানায়, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ করোনা পরীক্ষাগারে গতকাল ১৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এগুলোর মধ্যে পাঁচজনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই ১৮ জনের মধ্যে অপর একজনের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন অনির্ণীত থাকায় আজ মঙ্গলবার পুনরায় সেটি পরীক্ষা করা হবে।
শনাক্ত হওয়া পাঁচজনের মধ্যে জেলার একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন নারী চিকিৎসক (২৭), একজন নার্স (২৫) ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী (৩০) রয়েছেন। আক্রান্ত অপর দুজনের একজনের বয়স ৬০ ও অপরজনের বয়স ৪৫ বছর।
সূত্রটি আরও জানায়, শনাক্ত হওয়া পাঁচজনের মধ্য তিনজন বাবুগঞ্জের, একজন গৌরনদীর ও অপরজন আগৈলঝাড়া উপজেলার। তাঁদের মধ্যে তিনজনই নারী।
এক দিনে এত বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ায় বরিশালের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অনেকটা বিস্মিত। বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও দুজন স্বাস্থ্যকর্মী থাকার ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে।
বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন মনোয়ার হোসেন বলেন, পাঁচজনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও তাঁদের নাম–পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি এ–ও বলেন, ‘আমরা চাইছি পুনরায় তাঁদের পরীক্ষাগুলো করাতে এবং সেটা সম্ভব হলে ঢাকায় পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, আক্রান্ত ছয়জনের বাড়ি রাতেই লকডাউন করা হয়েছে। আজ খোঁজ নিয়ে আরও বেশ কিছু এলাকা ও বাড়ি লকডাউন করা হবে।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতি থেকে সোমবার পর্যন্ত পাঁচ দিনে বরিশাল বিভাগে ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। মৃত দুজনের মধ্যে একজন (৭০) বরগুনার আমতলী উপজেলার ও অপরজন দুমকি উপজেলার (৩২)। দুজনই বৃহস্পতিবার মারা যান। একজন নারায়ণগঞ্জের একটি হোসিয়ারি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। আরেকজন মৃত্যুর আগে ঢাকা ভ্রমণ করেছিলেন।