বেঙ্গল টাইগারের একটি চামড়া বিক্রি করতে চান এক ব্যক্তি—এমন খবর পেয়ে ক্রেতা সেজে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন বন বিভাগের লোকজন। তিন–চার দিন ধরে দর–কষাকষি শেষে দাম নির্ধারণ হয় ১৩ লাখ টাকা। অবশেষে বিক্রি করতে এসে চামড়াসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সুন্দরবন–সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজারের পাঁচ রাস্তা মোড় এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। বন বিভাগ ও র্যাব–৮–এর যৌথ অভিযানে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক ওই ব্যক্তির নাম গাউস ফকির (৪৫)। তিনি শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী এলাকার মৃত রশীদ ফকিরের ছেলে। বন বিভাগ বলছে, গাউস বাঘসহ বন্য প্রাণী শিকার ও পাচারের সঙ্গে জড়িত।
উদ্ধার হওয়া বাঘের চামড়াটি ৮ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা ও ৩ ফুট ১ ইঞ্চি চওড়া। চামড়া ও আটক গাউস ফকির বর্তমানে র্যাব-৮–এর হেফাজতে রয়েছে। আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় র্যাব ও বন বিভাগের যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে বলে জানা গেছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বাঘের চামড়া উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আটক গাউস ফকিরকে বরিশাল র্যাব-৮–এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কার্যালয়ে আনা হবে। বন্য প্রাণী নিধন আইনে বাঘ হত্যার অপরাধে মামলা দায়ের করে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আটক ব্যক্তি একটি বাঘের চামড়া বিক্রির চেষ্টা করছেন, এমন খবর পেয়ে ক্রেতা সেজে চামড়াটি কেনার জন্য গেল ৩-৪ দিন ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছিল সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের একটি দল। তার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে দর–কষাকষি শেষে ১৩ লাখ টাকা চুক্তিতে চামড়াটি বিক্রিতে রাজি হন তিনি। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী র্যাব-৮–এর সহযোগিতায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সন্ধ্যায় টাকা দিয়ে চামড়া নেওয়ার সময় গাউস ফকিরকে হাতেনাতে আটক করা হয়।