পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘বালু ভাস্কর্য’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় বাংলাদেশ পুলিশ বরিশাল রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন। পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই বালু ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মন্নান, পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরোয়ার, কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার প্রমুখ।
কুয়াকাটা সৈকতে অতুলনীয় বালুর ভাস্কর্য তৈরির কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন রাজশাহী ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের ছয়জন শিক্ষার্থী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অনুপম ধর ছিলেন দলনেতা। দলের অপর সদস্যরা হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সানি কুমার দাস, শাশ্বত রায়, আবদুর রহমান বিজয় এবং স্নাতকের শিক্ষার্থী প্রীতম রায় ও মারিয়া আক্তার।
সৈকতের জিরো পয়েন্টের খানিক পূর্ব দিকে বালুর ওপরে প্রায় ৪০ ফুট দীর্ঘ ও ৮ ফুট প্রস্থের তৈরি করা বালু ভাস্কর্যের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র। বাংলাদেশের মানচিত্রের ঠিক মাঝখানে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি। পাশাপাশি রয়েছে মহান ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘আমার সোনার বাংলা’, ‘জয় বাংলা’, ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’—এমন সব স্লোগান বালু ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশে লেখা হয়েছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন পর্যন্ত কুয়াকাটায় আসা পর্যটক-দর্শনার্থীরা এ বালু ভাস্কর্য প্রদর্শনী দেখতে পারবেন। ভাস্কর্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি কুয়াকাটায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ভাস্কর্য তৈরির কাজে নিয়োজিত শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বিজয় বলেন, ‘কুয়াকাটা একটি জনবহুল এলাকা। এখানে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। বেশিসংখ্যক মানুষ এমন শিল্পকর্ম দেখে দেশের জন্য উজ্জীবিত হবে, তাদের মধ্যে চেতনাবোধ সৃষ্টি হবে এবং দেশকে হৃদয়ে ধারণ করবে বলে আমরা মনে করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দেশমাতৃকার অর্জনগুলো নতুন প্রজন্মের মধ্যে তুলে ধরাই হলো আমাদের এমন শিল্পকর্মের মূল উদ্দেশ্য।’