ঈদযাত্রার প্রভাব এখনো পড়েনি বগুড়া-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে। মহাসড়কটি প্রায় ফাঁকা। তবে তুলনামূলক সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, অটো ভ্যান ও বিভিন্ন তিন চাকার যানবাহন বেশি চলাচল করছে।
সরেজমিনে আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাঁতী ও নলকা এলাকায় অবস্থান করে মহাসড়কটি অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। তবে তিন চাকার যানবাহন বেশি চলাচল করছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে ঘরমুখী মানুষের চাপ দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বেড়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট ও যাত্রীদের ভোগান্তি হতে পারে।
ঢাকা থেকে পাবনাগামী ট্রাকচালক সবুর হোসেন বলেন, মহাসড়ক থেকে জরুরি ভিত্তিতে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, দু-এক দিনের মধ্যেই যখন বেশিসংখ্যক মানুষ ঘরমুখী হতে থাকবে, তখন অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে চরম যানজট সৃষ্টি হবে।
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ২৬ এপ্রিল থেকে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে কাজ শুরু হবে। তখন মহাসড়কে তিন চাকার কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না।
এদিকে মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আজ সোমবার বিকেলে নবনির্মিত নলকা সেতুর একটি লেন চালু করার কথা আছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কে তিন থেকে চার গুণ যানবাহন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ জন্য আজ বিকেল চারটা নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে নবনির্মিত নলকা সেতুর একটি লেন খুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পুরোনো নলকা সেতুটিও সচল রাখা হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পুলিশ ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ২৭ রমজান থেকে ৪৫০ পুলিশ সদস্য মহাসড়কে কাজ করবেন।