বগুড়ায় গোপন আস্তানা গেড়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা ও নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের মালতিনগর এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, জিহাদি বই, গোপন নথি ও মশাল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন ছাত্রশিবিরের মালতিনগর উপশাখার সভাপতি মেহেদি হাসান (২৮), একই শাখার মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আলী (২৭), শহরের নারুলী শাখার সাথী জিয়া আলম (২৪) ও আসাদুল আল গালিফ (২৩), সদস্য শাহীন আলম (২৪), কর্মী গোলাম মোর্তুজা (২৭) ও আবদুল কুদ্দুস (২৫)।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, শিবিরের নেতা-কর্মীরা ছাত্রাবাসের আড়ালে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ছাড়াও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত হয়েই এই অভিযান চালানো হয়। তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ূন কবির বলেন, গ্রেপ্তার সাতজন শিবিরের বিভিন্ন পদে থেকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।