বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রণবীরবালা গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে মীম আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ১০টায় রণবীরবালার কাঁফুড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়ির শোয়ার ঘরে বিছানার ওপর থেকে মীমের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে মীমের বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মীমের স্বামী শাকিল আহম্মেদকে (২২) থানায় নেওয়া হয়েছে। থানা-পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল আহম্মেদ জানিয়েছেন, তাঁর অগোচরে আজ সকালে মীম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে মীমের বাবা মজনু মিয়া পুলিশকে বলেছেন, শাকিল পরিকল্পিতভাবে তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছে। হত্যার পর তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছে, এই মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে তিনি মেয়ের মৃত্যু সংবাদ জানতে পারেন।
পরিবার ও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের রণবীরবালা গ্রামের কাফুড়া পূর্বপাড়ার মজনু মিয়ার মেয়ে মীম আক্তারের সঙ্গে কাঁফুড়া পশ্চিমপাড়ার রবিউলের ছেলে শাকিলের প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মনোমালিন্য চলছিল। স্থানীয় দুজন বাসিন্দা জানান, গতকাল মঙ্গলবার স্ত্রীর সঙ্গে শাকিলের ঝগড়া হতে শুনেছেন। তবে কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া, তা তাঁরা জানেন না।
মীমের খালু মো. সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, শাকিল একটি ট্রাকের চালকের সহকারী। মীমের বিয়ের পর থেকে শাকিলের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হতো, তা তিনি জানতেন। এ নিয়ে সামাজিকভাবে সালিসও বসেছিল।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শাকিলের শোয়ার ঘরের বিছানা থেকে তাঁর স্ত্রী মীম আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। মীমের গলায় কালো দাগ আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে মীমকে হত্যা করার কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।