খুলনার মহসেন জুট মিলস

বকেয়া পরিশোধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখী পদযাত্রা

পাওনা টাকার দাবিতে মহসেন জুট মিলের শ্রমিকদের পদযাত্রা। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার শিরোমনি এলাকায়।
প্রথম আলো

খুলনার শিরোমনি শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত ব্যক্তিমালিকানাধীন মহসেন জুট মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জুট মিলের প্রধান ফটকের সামনে থেকে ওই পদযাত্রা শুরু হয়ে খুলনা সদরের দিকে আসতে থাকে। তবে কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর বিভাগীয় শ্রম পরিচালকের আশ্বাসে ফুলবাড়ী গেট এলাকায় পথসভার মাধ্যমে তা শেষ হয়।

আয়োজকেরা জানান, পদযাত্রা চলাকালে সোনালি জুট মিলের গেটের সামনে ও ফুলবাড়ীগেট এলাকায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বকেয়া পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে পদযাত্রা স্থগিত করার আহ্বান জানান। তাঁর ওই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেলা একটার দিকে ফুলবাড়ীগেট এলাকায় পথসভা করে পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করা হয়।
পথসভায় বক্তারা বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মহসেন জুট মিলের শ্রমিকদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের ব্যাপারে শ্রম পরিচালকের দপ্তর থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে, তা না হলে লাগাতার রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শ্রমিকেরা জানান, ২০১৩ সালের ২৩ জুন চালু থাকা অবস্থায় মিলটি অনির্দিষ্টকালের জন্য পে-অফ ঘোষণা করা হয়। এর ৩৯০ দিন পর ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই তা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় শ্রমিকদের বকেয়া থাকা কোনো টাকাই পরিশোধ করেননি মালিকেরা। ওই মিলের কাছে ৩৪৭ জন শ্রমিকের ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। ওই টাকার দাবিতে ছয় বছর ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিচ্ছেন শ্রমিকেরা।

এ বিষয়ে বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে গত জুনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মালিক–শ্রমিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মালিকপক্ষ দুই–আড়াই মাসের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু সময়মতো বকেয়া পরিশোধ না করায় শ্রম অধিদপ্তর থেকে মামলা করা হয়েছে। বকেয়া আদায় প্রক্রিয়াধীন।