নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় ছয়তলা ভবনের একটি ফ্ল্যাটে গ্যাসের আগুনে শিশু–নারীসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ‘হাজী ভিলা’ নামের ভবনে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ব্যক্তিদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ ছয়জন হলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক মো. মিশাল (২৬), তাঁর স্ত্রী মিতা বেগম (২৩), মেয়ে আফসানা আক্তার (৪), ছেলে দেড় বছরের মিনহাজ, চাচাতো ভাই মো. মাহফুজ ও ফুফাতো ভাই সাব্বির হোসেন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে ফ্ল্যাটে জমে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের নারী-শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের থাই জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ওই ঘরে থাকা আসবাবপত্রসহ সব মালামাল পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস জমে থাকা ঘরে কেউ সিগারেট খাওয়ার জন্য আগুন জ্বালালে অথবা অন্য কোনোভাবে আগুনের সংস্পর্শে এলে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের বোতল পড়েছিল। বিস্ফোরণে তিনটি কক্ষে আগুন ধরে যায়। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। ফ্ল্যাটের ভেতরে থাকা সব আসবাব পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে আগুন এলে এই বিস্ফোরণ ঘটে।
শহরের মণ্ডলপাড়ায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা ইমন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসা দেড় বছরের শিশু মিনহাজের শরীরের ৫০ শতাংশ, আফসানা আক্তারের ২০ শতাংশ ও মিতা বেগমের শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অপর তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।