মেহেরপুর পৌর শহরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয় মাঠে বসানো হয়েছে সারিবদ্ধ দোকান। দোকানে ঝুলছে বাহারি পোশাক। দোকানের সামনে সাজানো চাল, ডাল, আটা, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। নাম ‘ফ্রি হাট’। নাম শুনেই বোঝা যায়, এখানে কেনাকাটায় কোনো টাকা লাগে না। গতকাল শুক্রবার এমন একটি হাট বসিয়েছিল মুক্তির বন্ধন নামের একটি সামজিক সংগঠন।
নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ বলে জানান উদ্যোক্তরা। গতকাল সকালে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম। তিনি শতাধিক মানুষের হাতে ঈদের নতুন পোশাক ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দেন।
পৌর শহরের বাসিন্দা লিয়াকত আলী বলেন, ‘যখন সুস্থ ছিলাম, তখন রিকশা চালিয়ে উপার্জন করতাম। আজ পাঁচ বছর হলো কোনো কাজ করতে পারি না। সাহায্য-সহযোগিতার ওপর ভরসা করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। ঈদের আগে এমন উপহার পেয়ে ভালো লাগছে।’
আয়োজকদের একজন আনিক কুমার নন্দী বলেন, মুক্তির বন্ধন মূলত সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বিশেষ দিবসগুলোতে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি। প্রথম দিকে সংগঠনটির কার্যক্রম ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে সীমিত ছিল। পরে ঢাকা শহরসহ দেশের কয়েকটি জেলাতে কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়। এ পর্যায়ে মেহেরপুর জেলাতে ৪০০ হতদরিদ্র পরিবারকে ঈদের পোশাক, চাল, ডাল, তেল, সেমাই দেওয়া হলো। আগামীতে আরও বড় পরিসরে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আয়োজন করার চেষ্টা থাকবে।