ফেনীতে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

ফেনীতে শিল্প ও বানিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে গতকাল জেলা শহরের ট্রাংক রোডে শহীদমিনার চত্বরে আমরা ফেনীর সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়
 ছবি: প্রথম আলো

ফেনীতে শুরু হওয়া শিল্প ও বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী শহরের ট্রাঙ্ক রোডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আমরা ফেনীর সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ওয়াপদা মাঠে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার মেলা আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শহর ব্যবসায়ী সমিতি মেলা অনুষ্ঠানে অনাপত্তি জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শহরের গ্র্যান্ড হক টাওয়ার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, মো. পারভেজ, আলী মুর্তজা, সাইফুল ইসলাম, আমিরুল আলম পাটোয়ারী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনাকালে ব্যবসায়ীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এখন ব্যবসা-বাণিজ্য নামমাত্র চালু হয়েছে। এ সময়ে এ ধরনের মেলার আয়োজনে ব্যবসায়ীরা পথে বসবেন।

এ পরিস্থিতিতে বক্তারা মেলা বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, সরকার যেখানে একুশে বইমেলার অনুমোদন দেয়নি, ঢাকায় বাণিজ্য মেলার অনুমোদন দেয়নি, সেখানে ফেনীতে এ ধরনের মেলা আয়োজন সত্যিই বিস্ময়কর। কোনোরকম অনুমোদন ছাড়াই তারা কাজ শুরু করে দিয়েছে। মেলায় নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। এতে শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, যদি আগামী রোববারের মধ্যে মেলা বন্ধ না হয়, তাহলে তাঁরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি ও পরে বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেবেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পরিবার–পরিজন নিয়ে আমাদের বাঁচতে দিন। এই অবৈধ মেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।

জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, মেলার অনুষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়ার আগে কোনো ব্যবসায়ী এ বিষয়ে কোনো ধরনের আপত্তি জানাননি। শহর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত অনাপত্তি দেওয়া হয়েছে।

শিল্প ও বাণিজ্য মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে অনাপত্তি দেওয়ার বিষয়ে জানতে শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারির মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।