ফেনীর এক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ নতুন করে আরও আটজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মৃত ব্যক্তি। সোনাগাজী উপজেলার ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনাক্ত হওয়া বাকি সাতজনের মধ্যে দাগনভূঁঞার পাঁচজন এবং ফেনী সদরের দুজন।
ফেনীর সিভিল সার্জন মো. সাজ্জাদ হোসেন আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে দাগনভূঁঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন (৫০) রয়েছেন । তিনি ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি।
দাগনভূঁঞা উপজেলার চারজনের মধ্যে দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের একই পরিবারের তিনজন ও ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের একজন। তাঁরা সবাই ঈদ উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি এসেছেন।
মৃত যে ব্যক্তির করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে তিনি সোনাগাজীর চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। তিনি ঈদের আগের দিন মারা যান।তাঁর মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
সূত্র আরও জানায়, গত ১৬ এপ্রিল জেলায় প্রথম এক যুবকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর দেড় মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯ জনে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৯ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৪ জন, দাগনভুঞার ১৯ জন, সোনাগাজীতে ১১ জন, পরশুরামে সাতজন, ফুলগাজীতে পাঁচজন। অপর চারজন পাশ্ববর্তী চট্টগ্রাম, মিরসরাই্, চৌদ্দগ্রাম ও সেনবাগের বাসিন্দা। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করা হয় তাঁদের। এর মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫৩ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন, চারজন অন্য জেলার এবং তিনজন মারা গেছেন।