ফেঞ্চুগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত সাংসদ মাহমুদ

সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের লাশ হেলিকপ্টারে করে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানার এনজিএফএফ খেলার মাঠে আনা হয়
প্রথম আলো

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ফেঞ্চুগঞ্জের নুরপুরে বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে তাঁর মরদেহ ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানার এনজিএফএফ খেলার মাঠে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মরদেহ ফেঞ্চুগঞ্জের নুরপুরে নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে দলীয় নেতা–কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন-সহকর্মীরা। সাংসদের জন্য শোক জানাতে তাঁর নিজ বাড়িতে শোকবই খোলা হয়, এতে অনেকেই শোকগাথা লিখে প্রয়াত এই সাংসদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পরে বিকেল সোয়া পাঁচটায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে জানাজার আগেই নির্ধারিত মাঠ ও পার্শ্ববর্তী সড়ক লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী

সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ৭ মার্চ রাতে তিনি সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরেছিলেন। পরে অসুস্থতা বোধ করায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পাশাপাশি শেখ রাসেল শিশু–কিশোর পরিষদের মহাসচিবের দায়িত্বেও ছিলেন।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল জানান, ‘আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন মাহমুদ উস সামাদ। যে মাঠে তাঁর মরদেহ আনা হয়েছে, সেই খেলার মাঠে চলা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় তাঁর অতিথি হিসেবে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি এই মাঠে এলেন অতিথি নয়, লাশ হয়ে।’

এদিকে প্রয়াত সাংসদের স্মরণে ১০ দিনের শোক পালনের কর্মসূচি নিয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। আজ থেকে শুরু হয়ে কর্মসূচি চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল, কালো ব্যাজ ধারণ, শোকবইয়ে স্বাক্ষর ও দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং ফেঞ্চুগঞ্জের প্রতিটি মসজিদে বাদ জুমা দোয়া মাহফিল।

অন্যদিকে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা প্রয়াত সাংসদের মাগফিরাত কামনায় সিলেট নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে দোয়া মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন।