ফায়ার সার্ভিসের নিহত দুই কর্মীর লাশ রাঙামাটিতে পৌঁছেছে

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মিঠু দেওয়ান ও নিপন চাকমা
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে কনটেইনার বিস্ফোরণে নিহত দুই ফায়ার সার্ভিস কর্মীর লাশ রাঙামাটিতে তাঁদের নিজেদের বাড়িতে পৌঁছেছে। আজ সোমবার ভোরে মিঠু দেওয়ান (৫০) ও নিপন চাকমার (৪৫) লাশ তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে কনটেইনার বিস্ফোরণের পর আগুন নেভানোর জন্য কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে অন্য কর্মীদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান মিঠু দেওয়ান। সেখানে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি রাঙামাটি শহরের পশ্চিম ট্রাইবেল আদামে। নিহত মিঠু দেওয়ানের স্ত্রী ও এক মেয়ে আছে।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে অন্য কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে যান নিপন চাকমা। তিনিও দগ্ধ হয়ে মারা যান। তাঁর বাড়ি রাঙামাটি শহরের কলেজ গেটের মন্ত্রীপাড়া এলাকায়। নিপন চাকমার স্ত্রী ও দুই মেয়ে আছে।

নিহত মিঠু দেওয়ানের ছোট ভাই টিটু দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের লাশ আজ সোমবার ভোরে রাঙামাটিতে পৌঁছেছে। আজকেই শেষকৃত্য অনুষ্ঠান করা হবে।’

নিহত নিপন চাকমার স্ত্রী সুমনা চাকমা বলেন, ‘আমার স্বামী মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই মারা গেছেন। এখন আমি দুই মেয়ে নিয়ে কী করব, কিছু বুঝতে পারছি না।’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গত শনিবার রাত ১১টায়। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলের আশপাশের অন্তত চার বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। ওই বিস্ফোরণ ও আগুন পুড়ে মারা গেছেন ৪৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, যাঁরা আগুন নেভাতে ও অন্য মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ডিপোতে গিয়েছিলেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আরও রয়েছেন ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবহনশ্রমিকেরা। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্যসহ দুই শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী। এর মধ্যে পুলিশের এক সদস্যের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ

গুরুতর আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জনকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।