ফরিদপুরে সংবাদ সম্মেলন করে রাজনীতি না করার ঘোষণা বিএনপি নেতার

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছেন হাবিবুর রহমান। আজ শুক্রবার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে
ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে ছোট ভাইসহ দল থেকে পদত্যাগ করে ‘আপাতত’ রাজনীতি না করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা বিএনপির এক নেতা। আজ শুক্রবার সকালে ফরিদপুরে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তিনি।

‘আপাতত’ বিএনপির রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়া এই নেতার নাম হাবিবুর রহমান (৫৪)। তিনি জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি সালথা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন, ওই পদ থেকে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হয়েছিলেন।

হাবিবুর সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের নটখোলা গ্রামের মৃত আবদুল জলিল মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে শহরের থানা রোডের বাড়িতে বসবাস করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি বিএনপি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যসহ বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। পাশাপাশি আমার ছোট ভাই আজিজুর রহমান সহমত পোষণ করে জাতীয়তাবাদী যুবদল ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ফরিদপুর জেলা শাখার সহসাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।’

হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি ও তাঁর ভাই ছাড়া তাঁদের পরিবারের সবাই আওয়ামী রাজনীতির চেতনায় বিশ্বাসী। তিনি ১৯৭৭ সালে স্কুলে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগে যোগ দেন। ১৯৮৭ সালে রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেলের সহসভাপতি ছিলেন। জেলা যুব লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অবস্থার প্রেক্ষাপটে ও পরিস্থিতির কারণে তিনি ২০০০ সালে বিএনপিতে যোগ দেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গত ২২ বছর বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় আমি এক দিনের জন্যও মানসিকভাবে সুস্থ ছিলাম না। প্রতিনিয়ত বিবেকের দংশনে দংশিত হয়েছি। বিএনপির বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাসহ ইতিহাস বিকৃতির নানা বিষয়ে আমি দংশিত হয়েছি। এ দংশনের ভার আমি আর বহন করতে পারছি না।’

হাবিবুর রহমান বলেন, বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেও, তিনি আপাতত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন না। তিনি একজন আইনজীবী হিসেবেই থাকতে চান এবং মানুষের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে চান।

সংবাদ সম্মেলনে হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই আজিজুর রহমানসহ তাঁর বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী প্রথম আলোকে বলেন, হাবিবুর আগে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দুই বছর ধরে তিনি পুনরায় অওয়ামী লীগে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সফল হতে পারেননি। তিনি আওয়ামী লীগ করতেন, আবার আওয়ামী লীগেই যাচ্ছেন।