বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কটূক্তির প্রতিবাদে ফরিদপুর জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। আজ বেলা ১১টার দিকে শহরের পৃথক দুটি জায়গায় এ বিক্ষোভ করেছে। এর মধ্যে একটি অংশ কোর্টপাড়ে এবং অন্য অংশটি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালসংলগ্ন ব্রাহ্মসমাজ সড়কে এ কর্মসূচি পালন করে।
ফরিদপুরে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কোনো কমিটি নেই। কমিটি ভেঙে দেওয়ার দুই বছর পর গত ১৫ এপ্রিল ১৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই আহ্বায়ক কমিটি বর্তমানে দুই ভাগে বিভক্ত।
বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর কোর্ট চত্বরে আয়োজিত সভাটি হয় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ও সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়ার নেতৃত্বে। এখানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শহর বিএনপির আহ্বায়ক এ এফ এম কাইউম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজম খান প্রমুখ।
একই সময়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালসংলগ্ন ব্রাহ্মসমাজ সড়কে আয়োজিত সমাবেশের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন ও আফজাল হোসেন। এখানে বক্তব্য দেন শহর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিকী মিতুল, শহর যুবদলের আহ্বায়ক বেনজির আহমেদ প্রমুখ।
দুই সভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়। বারবার হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে এখন পদ্মা সেতু থেকে তাঁকে (খালেদা জিয়া) টুস করে ফেলে মেরে ফেলতে চায়। যে সরকার রাতের আঁধারে ভোট করে ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক কোনো আচরণ আশা করা যায় না।
বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালনের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, অন্য কেউ বিএনপির নামে কোনো কর্মসূচি পালন করেছে বলে তাঁর জানা নেই। এ–জাতীয় কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকলে তা ঠিক হয়নি।
অপর পক্ষের নেতা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন বলেন, আজকের কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহর আসার কথা ছিল। কেন্দ্র থেকে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরিদপুরে আসার জন্য। জেলা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব এ বিষয়ে কোনো আলাপ না করেই কর্মসূচি নেন। বিষয়টি জানার পর বরকতউল্লাহ আসেননি। তিনি বলেন, ‘তাঁরা এ কর্মসূচি নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলাপ করেনি। তাঁরা মনে করে আমরা বিএনপির কেউ নই। এ কারণে আমরা আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করেছি।’