ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় বাসের ধাক্কায় রাইফা আক্তার নামের চার বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ আরও পাঁচ পথচারী আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার ঝাটুরদিয়া এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত রাইফা আক্তার গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। দুর্ঘটনায় আহত পাঁচ পথচারীকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিশু রাইফা মায়ের সঙ্গে নগরকান্দা মহাসড়কের পাশে ঝাটুরদিয়া বাজারের একটি দোকানের সামনে মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের সঙ্গে সেখানে ছিলেন আরও কয়েকজন পথচারী। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খানজাহান আলী পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়াভাবে খুলনার দিকে যাচ্ছিল। বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। বাসের ধাক্কায় শিশু রাইফা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় রাইফার মাসহ আরও চার ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।
এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার উত্তেজিত জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে। ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও নগরকান্দা থানার পুলিশ ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, বাসের ধাক্কায় একটি শিশু মারা গেছে এবং আরও চার-পাঁচজন আহত হয়েছেন। বাসটি নিয়ে চালক দ্রুত পালিয়ে যান। চালককে আটকের পাশাপাশি বাসটি জব্দের চেষ্টা চলছে। বিক্ষুব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।