দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুরে আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত-ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত আরাফাত হোসেন ওরফে জুয়েলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মাদক মামলায় তাঁকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ রোববার জেলার ১ নম্বর আমলি আদালতে সোপর্দ করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। আদালত আগামীকাল সোমবার রিমান্ডের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। এরপর আরাফাতকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বরকত-রুবেলের সহযোগী আরাফাতকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরতলির ব্রাহ্মণকান্দা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে ৩০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
আরাফাত হোসেন ওরফে জুয়েল ফরিদপুর শহরের ব্রাহ্মণকান্দা এলাকার মৃত মনসুর মোল্লার ছেলে। তিনি ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। বরকত-রুবেলকে মামা বলে ডাকতেন জুয়েল। এ কারণে তিনি ‘ভাগিনা জুয়েল’ নামে পরিচিত ছিলেন।
ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, বরকত-রুবেলের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করতেন আরাফাত। তাঁর বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা ও সাভার থানাসহ বিভিন্ন থানায় মোট ১০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি মাদক, চারটি অস্ত্র, একটি দ্রুত বিচার আইন ও অপরটি চুরির মামলা। প্রতিটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আরাফাত।
ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত শনিবার বিকেলে আরাফাতকে আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।