ফরিদপুরে করোনা শনাক্তের হার এযাবৎকালের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা) জেলার ১৭১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬০ দশমিক ৮২।
গত দুই বছরে এটিই শনাক্তের সর্বোচ্চ হার। এর আগে ২৫ জানুয়ারি ৩০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ছিল ৫১ দশমিক ১৫। আজ শুক্রবার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত পিসিআর ল্যাব সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ বিকেলে এ ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভাঙ্গা উপজেলার দুজনের নমুনা পরীক্ষা করে দুজনেরই এবং বোয়ালমারীতে একজনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফরিদপুর শহরসহ সদর উপজেলার ১৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৬৩ দশমিক ২৭। চরভদ্রাসন ও সালথায় দুজনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মধুখালী ও নগরকান্দায় সাতজনের নমুনা পরীক্ষা করে তিনজনের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আলফাডাঙ্গা দুজনের এবং সদরপুরে একজনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, করোনা শনক্তের হার ফরিদপুরে সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এই অবস্থায় টিকা নেওয়া, মাস্ক পরা ও সমাজিক দূরত্ব মানার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, টিকা নেওয়া থাকলে করোনা বা অমিক্রনের প্রভাব কম হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে দিন দিন অবস্থার অবনতি হবে।
ছিদ্দীকুর রহমান আরও বলেন, ফরিদপুরে শনাক্তের হার বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা তেমন বাড়েনি। সর্বশেষ ২৩ জানুয়ারি একজন মারা গেছেন। এরপর করোনায় নতুন কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।