সুনামগঞ্জের ধরমপাশায় প্রয়াত সাংবাদিক মোস্তফা কামালের পৈতৃক জমি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার দুপুরে মোস্তফা কামালের ভাগনে ও বাদশাগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আছাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলন ধরমপাশা উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে আছাদুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ–সংলগ্ন বৌলাম মৌজায় তাঁর মামা মোস্তফা কামালের ৯ একর পৈতৃক জমি আছে। তিনি নিজেও উত্তরাধিকার সূত্রে এই জমির অংশীদার। এই জমির পাশেই সরকারি কিছু জমি আছে। এর মধ্যে ওই গ্রামের বাসিন্দা আফির উদ্দিন (৬৫) ভূমিহীন হিসেবে বৌলাম মৌজায় সরকার থেকে এক একর জমি বন্দোবস্ত পান। বেশ কয়েক বছর ধরে আফির উদ্দিনের সহায়তায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র তাঁদের ওই ৯ একর জমি দখলের চেষ্টা করছে। ওই জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়।
আছাদুজ্জামান বলেন, ‘এ অবস্থায় ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি আমি ইউএনওর কার্যালয়ে (ইউএনওর নির্বাহী আদালত) একটি মামলা করি। ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি মামলার শুনানি শেষে মামলার বিবাদীদের ওই জমিতে না যাওয়া জন্য আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আফির উদ্দিন ও তাঁকে সহায়তাকারীরা এ আদেশ মানেননি। পরে চলতি বছরের ২২ আগস্ট সহকারী জজ আদালতে আমি বাদী হয়ে আবার একটি মামলা করি। ২৩ নভেম্বর আফির উদ্দিনসহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা ও তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু আফির উদ্দিন এবং ওই প্রভাবশালী চক্র আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও নোটিশকে পাত্তা দিচ্ছে না।’
বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য তিনি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আফির উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেদুয়ানুল হালিম প্রথম আলোকে জানান, এ ঘটনায় দুই পক্ষকেই ডেকে কথা বলা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।