বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীতে গ্রেপ্তার মাহবুবা নাসরিন ওরফে রূপাকে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ রোববার জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মাহবুবা নাসরিন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান (প্যানেল চেয়ারম্যান-১) ও ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।
মাহবুবাকে গত শুক্রবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ‘অডিটর’ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ডিবি বলছে, মাহবুবার সঙ্গে মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের (সিজিএ) বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানও রয়েছেন। এই চক্রের মোট ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহবুবা নাসরিনের সংশ্লিষ্টতা এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। তাঁর কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় মাহবুবা নাসরিনকে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি এবং সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহবুবা নাসরিন দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতেও সদস্য পদে আছেন। গত বছরের ১ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগের ৯ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান। সেখানে মাহবুবাকে সদস্য পদ দেওয়া হয়।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুর রহমানের দাবি, মাহবুবা নাসরিন উপজেলা আওয়ামী লীগের কেউ নন। উপজেলা কমিটিতে তাঁর কোনো পদ নেই, সেই কারণে বহিষ্কার বা অব্যাহতিরও প্রয়োজন নেই।
জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, মাহবুবাকে জেলা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কমিটির। উপজেলা কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে পাঠালে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।