সড়কের দুই পাশে থইথই পানি। কিছুদূর পর পর খুঁটিতে জ্বলছে সড়কবাতি। এরই মধ্যে নানা কাজে লোকজন ছুটছে। এ দৃশ্যটি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরপাড়ের ভূঁয়াই বাজার থেকে শাহগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এলাকার।
প্রবাসে বসবাসকারী স্থানীয় কিছু বাসিন্দার সহযোগিতায় এসব সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সড়কবাতির উদ্বোধন করা হয়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের সূত্রে জানা গেছে, ভূঁয়াই বাজার থেকে শাহগঞ্জ বাজার সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। এটির কিছু অংশ পাকা আর বাকিটা কাঁচা। সড়কের দুই পাশে ভূঁয়াই, নিশ্চিন্তপুর ও শাহপুর গ্রাম পড়েছে। বর্ষায় সড়কের বিভিন্ন নিচু স্থান ডুবে যায়। তখন রাতে লোকজন চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়ে। সম্প্রতি আলোকিত শাহপুর নামে স্থানীয় একটি সামাজিক সংগঠন সড়কে বাতি স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়। সংগঠনের সদস্যরা এলাকার কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা সহযোগিতার হাত বাড়ান। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যুতের মিটারের জন্য আবেদন করা হয়। একপর্যায়ে মিটার স্থাপনের অনুমোদন মেলে। প্রাথমিকভাবে ৪৬টি বাতি স্থাপন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ভূঁয়াই বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কবাতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা আবদুল গাফফারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাছুম রেজা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ভূঁয়াই বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুস শহীদ, প্রবাসী শেখ মতিউর রহমান, আবদুল বারী, সুমন মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আলোকিত শাহপুর সংগঠনের সভাপতি মিছবা উদ্দিন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল বারী বলেন, ‘তরুণেরা উদ্যোগ নিছে। আমরা সাহস দিছি, বলছি পিছনে আছি। বাতি লাগছে। তরুণদের ভালো কাজে উৎসাহ জোগালে তাঁরা সফল হয়—এটা তার একটা প্রমাণ।’
ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম রেজা আলোকিত শাহপুরের সড়কবাতি স্থাপনের মতো এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন। তিনি এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলে উল্লেখ করেন।
আালোকিত শাহপুরের সভাপতি মিছবা উদ্দিন বলেন, ভূঁয়াই বাজার থেকে শাহগঞ্জ বাজারে মোট ২০০টি সড়কবাতি লাগবে। কিছুদিনের মধ্যে সব বাতি স্থাপন হয়ে যাবে।