বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বরাদ্দ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় এক ব্যক্তিকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডিত ওই ব্যক্তির নাম আবদুর রহমান। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলার ধুন্দার গ্রামের বাসিন্দা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে তিনি এই অভিযান চালান।
সরকারি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আবদুর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ভূমিহীনদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, আবদুর রহমান নিজেকে কখনো পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, আবার কখনো একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিতেন। সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি ভূমিহীনদের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেন। প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে কয়েকজন এলাকাবাসী ফোন দেন ৯৯৯-এ। অভিযোগ পেয়ে আটক করা হয় কথিত ওই সরকারি কর্মকর্তাকে। এরপর তাঁর কাছে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, তিনি সরকারি কর্মকর্তা নন, বেসরকারি একটি কোম্পানির নিরাপত্তাকর্মী (সিকিউরিটি গার্ড)। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তি একজন পেশাদার প্রতারক। আটক করার পর তাঁর কাছ থেকে নিরাপত্তাকর্মীর পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। পরে উপস্থিত লোকজনের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।