দেশে মোট ৩ হাজার ৬৯০টি বিল ও সাত জেলায় ৩৭৩টি হাওর রয়েছে। হাওর-জলাভূমি সংরক্ষণে মাঠপর্যায়ে অধিদপ্তরের কাজ দৃশ্যমান নয়।
বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের টেকসই জীবনমান উন্নয়ন। এতে উন্নয়নের কথা বলা হলেও সুনির্দিষ্টভাবে এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের কথা বলা নেই। আবার অধিদপ্তর গঠনের ২২ বছর পরও হাওর-জলাভূমি সংরক্ষণে মাঠপর্যায়ে তারা কোনো কাজই করতে পারেনি। নেই স্থায়ী জনবল, তৈরি হয়নি অনুমোদিত নিয়োগ বিধিমালা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়নের চেয়ে সংরক্ষণই বেশি জরুরি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি মূল দর্শন থেকে সরে গেছে। তারা হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণের বদলে উন্নয়নের দর্শন নিয়ে এগোচ্ছে।
১৯৭৭ সালে ‘হাওর উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করা হয়। ১৯৮২ সালে এই বোর্ড বিলুপ্ত করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০০০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আবার ‘হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করা হয়। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই এই বোর্ডকে অধিদপ্তরে রূপান্তর করা হয়।
২০০৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৭ সালের মার্চ পর্যন্ত তৎকালীন হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন প্রকৌশলী ম ইনামুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দায়িত্বে থাকাকালে তিনি আইনের মাধ্যমে এটিকে ‘সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটি হয়নি। হাওর-জলাভূমি সংরক্ষণের চেয়ে প্রতিষ্ঠানটি উন্নয়নে আগ্রহী বেশি। উন্নয়ন করতে গেলে অনেক সমস্যা। কিশোরগঞ্জের হাওরে সড়ক নির্মাণ নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে।
ম ইনামুল হক আরও বলেন, ‘আমলারা এই অধিদপ্তরকে অন্তর্বর্তীকালীন চাকরির একটা জায়গা হিসেবে বিবেচনা করেন। তাঁরা চাকরি করেন, বেতন পান, সুযোগ-সুবিধা নেন, কিছু দুর্নীতি করেন।’
‘এখনো আমরা মাঠপর্যায়ে কাজে যেতে পারিনি। তবে একটি মহাপরিকল্পনা ও পাঁচটি সমীক্ষা করেছে অধিদপ্তর।’মো. মাশুক মিয়া, অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক
রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনের সীমানার ভেতরে একতলা ভবনে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়। সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে দুটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। কিশোরগঞ্জের কার্যালয় অনেকটা জীর্ণশীর্ণ, সেখানে একজন অফিস সহকারী আছেন। সুনামগঞ্জ শহরের ষোলগড়ের তিনতলা আঞ্চলিক কার্যালয়ে ব্যক্তিগত সহকারী, অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তাপ্রহরী পদে তিনজন কর্মচারী রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনুমোদিত নিয়োগ বিধিমালা না থাকায় অধিদপ্তরে স্থায়ী জনবল নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। ২০২০-২১ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, অধিদপ্তরে মোট ৩৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজন প্রেষণে ও বাকি ২৯ জন অস্থায়ী। তাঁদের পেছনে ওই অর্থবছরে বেতন-ভাতা বাবদ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এভাবে বছরের পর বছর সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন–ভাতা দিচ্ছে।
অধিদপ্তরের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম ১৫ বছরে অধিদপ্তরের তেমন কাজই ছিল না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাই অস্থায়ী। নিজস্ব লোকবল ছাড়া কাজ করা কঠিন। এখনো আমরা উন্নয়ন কার্যক্রমে যাইনি।’
প্রতিষ্ঠার ২২ বছরেও মাঠপর্যায়ে কোনো কাজ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি স্বীকারও করেন অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক মো. মাশুক মিয়া। সম্প্রতি তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো আমরা মাঠপর্যায়ে কাজে যেতে পারিনি। তবে একটি মহাপরিকল্পনা ও পাঁচটি সমীক্ষা করেছে অধিদপ্তর।’
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটি হাওর মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তারা পাঁচটি সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। প্রতিষ্ঠার প্রায় ২২ বছরে বলার মতো এটুকু কাজ করেছে তারা।
২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন ঘেঁটে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের কিছুটা নমুনা পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, এক বছরে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হাওর ও জলাভূমি এলাকায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প পরিদর্শন ও মতামত দেন। এ ছাড়া হাওর এলাকায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প পরিচালকদের নিয়ে অনলাইনে দুটি সমন্বয় সভা করেন।
সম্প্রতি ঢাকায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে একজন কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, আসবাব, বইয়ের আলমারিতে ধুলার স্তর। কর্মচারীরা জানান, অফিসে আসা-যাওয়া ছাড়া কর্মকর্তাদের তেমন কোনো কাজ নেই।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ সংস্থাটি ঠুঁটো জগন্নাথ। তাদের কোনো কাজ আমি দেখিনি। এই সংস্থা রেখে কেবল সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে।’
সুরমা ও রঙ্গারচর ইউনিয়নের ছোট কাংলা হাওরের পাড়ে প্রায় ৩০টি বাড়ি গড়ে উঠেছে। এই হাওরের ভূমি উঁচু হয়ে যাওয়ায় অস্তিত্বসংকটে পড়েছে।আবদুল আলী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা
যেসব লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যে এই অধিদপ্তর গঠিত হয়েছে, সেসব কাজ দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও দপ্তর বাস্তবায়ন করে আসছে।
হাওর অধিদপ্তরের লক্ষ্য হলো হাওর ও জলাভূমি অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, বন্যা ব্যবস্থাপনা এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করা। পানি উন্নয়ন বোর্ডও (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করে থাকে।
সুনামগঞ্জসহ পাঁচটি জেলার ২৯টি হাওরে প্রায় ৯৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হাওর অঞ্চলের বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পাউবো। এ দুটি বিষয় নিয়ে বরং হাওর অধিদপ্তর এখনো কোনো কাজ করেনি।
২০২০-২১ অর্থবছরে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়নে সরকারের প্রায় ৪০টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বিভাগের ৯৫টি প্রকল্প ছিল। এর মধ্যে মাত্র একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিল হাওর অধিদপ্তর, সেটিও আবার সমীক্ষা প্রকল্প।
এক প্রশ্নের জবাবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাশুক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান হাওরে প্রকল্প বাস্তবায়ন বা কাজ করে, তাদের সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা সহযোগিতা করি।’
‘জাতীয় কমিটি এখনো আছে। মাস দুয়েকের মধ্যে সভা করার চেষ্টা করব।’মাশুক মিয়া, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
প্রায় ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো আইনি ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি এই অধিদপ্তর। দীর্ঘদিন ধরে ‘জলাভূমি সুরক্ষা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন’ প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে অধিদপ্তরটি। এই আইন না হওয়ায় নিজেদের কাজও ঠিকমতো করতে পারছে না তারা।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অধিদপ্তরে রূপান্তরিত হয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো আইনি কাঠামো তৈরি হয়নি। এখন অনেকে আমাদের কাজের সুযোগ দিতে চায় না। আইনকানুন হয়ে গেলে আমরা ভালোভাবে কাজ করতে পারব।’
দুটি সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় জলাভূমির শ্রেণিবিন্যাস ও তালিকা করেছে অধিদপ্তর। এতে দেখা গেছে, সারা দেশে মোট ৩ হাজার ৬৯০টি বিল রয়েছে। এর মধ্যে প্লাবনভূমির বিল ১ হাজার ৬২২টি এবং হাওরাঞ্চলে ২ হাজার ৬৮টি। এ তালিকায় অনেক বিলের অস্তিত্বই নেই। যেমন, তালিকায় উল্লেখ করা ঢাকার তেজগাঁওয়ের চান্দকোন্দাইল ও কালমহার বিলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অনেক বিল বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। হারাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। এমন একটি বিল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের তল্লা বিল। স্থানীয় লোকজন জানান, এই বিলের খাসজমি দখল করে বেশ কিছু পুকুর করা হয়েছে। আবার কিছু বাড়িঘরও হয়েছে। বিলের বাকি অংশে এখন আর পানি থাকে না। হয়ে গেছে ফসলি জমি।
মুক্তাগাছার রাজাবাড়ি গ্রামের অনিল চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, এই বিলে একসময় পদ্মফুল, শাপলা, শালুক, কচ্ছপ, কুঁচেসহ নানা প্রজাতির মাছ ও উদ্ভিদ পাওয়া যেত। এখন আর সেসব পাওয়া যায় না।
অধিদপ্তর সূত্র বলছে, দেশের সাত জেলায় ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৬০ হেক্টর জায়গাজুড়ে মোট ৩৭৩টি হাওর রয়েছে। আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি হাওর রয়েছে সুনামগঞ্জে। এই জেলায় ২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩১ হেক্টর ভূমিতে ৯৫টি হাওর রয়েছে। এ ছাড়া সিলেটে ১০৫, হবিগঞ্জে ১৪, মৌলভীবাজারে ৩, নেত্রকোনায় ৫২, কিশোরগঞ্জে ৯৭ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭টি হাওর রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা কারণে এসব হাওর ঝুঁকিতে। হাওরের অনেক জীববৈচিত্র্য ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে। বাকি যা আছে, তা-ও ধ্বংসের পথে।
হাওর এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ভারতের উজান থেকে ছোট-বড় ছড়া বা নদীর পানিতে বালু, পাথরসহ নানা উপাদান এসে হাওরে পড়ে। এতে হাওরের গভীরতা কমছে। হাওরের ভেতর দিয়ে যেসব সড়ক হচ্ছে, তার দুই পাশে বসতি গড়ে উঠছে। হাওরের পাড়েও বসতি গড়ে উঠছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল আলী প্রথম আলোকে বলেন, সুরমা ও রঙ্গারচর ইউনিয়নের ছোট কাংলা হাওরের পাড়ে প্রায় ৩০টি বাড়ি গড়ে উঠেছে। এই হাওরের ভূমি উঁচু হয়ে যাওয়ায় অস্তিত্বসংকটে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২০১৬ সালের ৫ মে এক সভায় হাওর ও জলাভূমির উন্নয়নে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিতে গঠন করা হয় বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন জাতীয় কমিটি। কমিটি গঠনের পর ওই বছরই একটি সভা হয়। এরপর গত পাঁচ বছরে আর কোনো সভা হয়নি।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাশুক মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাতীয় কমিটি এখনো আছে। মাস দুয়েকের মধ্যে সভা করার চেষ্টা করব।’
এই কমিটির মোট সদস্য ২০ জন। প্রধানমন্ত্রী কমিটির চেয়ারপারসন, আর কো–চেয়ারপারসন পানিসম্পদমন্ত্রী। সদস্য হিসেবে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদমন্ত্রী ও নৌপরিবহনমন্ত্রী।
এ ছাড়া আছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী, হাওর ও জলাভূমি এলাকার তিনজন সংসদ সদস্য। কমিটিতে পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ হিসেবে আছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত ও বুয়েটের পানিসম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক উম্মে কুলসুম নাভেরা (প্রয়াত)।
মৎস্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে আছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দিন শাহ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অনুষদের অধ্যাপক মো. আবদুল ওয়াহাব।
কমিটির সদস্য ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, এই কমিটি আছে কি নেই, তাতে কিছু আসে-যায় না। কারণ, সভা তো হয় না। তিনি বলেন, ‘অধিদপ্তরের দায়িত্ব বনভূমি, জলাভূমি, জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতি সংরক্ষণ করা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক রাস্তা বানানোর প্রকল্প খোঁজেন।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর যেসব কাজ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর করে থাকে। ফলে এই অধিদপ্তর দেশের হাওর ও জলাভূমির প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের কাজে গুরুত্ব দিতে পারে। সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠানই দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত কাজটি করছে না। এসব প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।