পোষা মোরগ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল বনবিড়ালটি

ফাঁদে ধরা পড়া বনবিড়াল। প্রথম আলো
ফাঁদে ধরা পড়া বনবিড়াল।  প্রথম আলো

অনেক দিন ধরেই বাড়ির পোষা মোরগ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল কোনো প্রাণী। বাড়ির লোকজন কিছুতেই সেটাকে ধরতে পারছিল না। শেষমেশ ফাঁদ পাতল। আর সে টোপ গিলতে এসে খাঁচাবন্দী হলো সংকটাপন্ন প্রাণী বনবিড়াল।

গত রোববার গভীর রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুরের একটি বাড়িতে বনবিড়ালটি ধরা পড়েছে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফাপুরের জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়ির পোষা মোরগ ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলছিল বনবিড়ালটি। রোববার রাতে লোহার খাঁচায় একটি মোরগের টোপ দিয়ে ফাঁদ পাতেন বাড়ির মালিক। ফাঁদের মোরগ খেতে এসে গভীর রাতে খাঁচায় আটকা পড়ে বনবিড়ালটি। এটি সংকটাপন্ন প্রাণী। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে বনবিড়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন।

বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বনবিড়ালটি অনেক দিন ধরেই পোষা মোরগ ধরে নিয়ে খাচ্ছিল। আজকে (সোমবার) ফাঁদে ধরা পড়েছে।’

বন্য প্রাণী গবেষকদের সূত্রে জানা গেছে, বনবিড়ালের ইংরেজি নাম জাঙ্গল ক্যাট। বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Felis chaus। ছোট ছোট জঙ্গলে এদের আবাস-বসতি আছে। তবে এখন সংখ্যায় কম। এরা নিশাচর। যদিও দিনের বেলায় অনেক সময় চলতে দেখা যায়। এরা মূলত মাংসাশী প্রাণী। কিন্তু মাছ, গিরগিটি, ইঁদুর বা কাঠবিড়ালি জাতীয় প্রাণী শিকার করে খায়। অনেক সময় ফলমূলও খেয়ে থাকে।

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন গতকাল সোমবার বলেন, গতকাল বনবিড়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনার কার্যালয়ে আছে। আজ মঙ্গলবার বর্ষিজুরা ইকোপার্কে বনবিড়ালটি অবমুক্ত করা হবে।