ইউনিয়ন পরিষদের পর এবার স্থানীয় সরকারের পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
দলটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা ও বেআইনিভাবে সরকারের হস্তক্ষেপ চরমভাবে এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় তারা আসন্ন অবশিষ্ট পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না। গত শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের এই সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানায় বিএনপি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্থায়ী কমিটিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিনে মুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোরের তথ্য অনুযায়ী, লেখক মুশতাক আহমেদসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক বন্দীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের বিষয়ে স্থায়ী কমিটি গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে।
সভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগণের বাক্ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতারা। এ সময় এ আইন গণতন্ত্র ও মানবতাবিরোধী হওয়ায় বাতিলের দাবিতে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া এ আইনের আওতায় আটক সব বন্দীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের ঢাকা সফরের সময়ে দেওয়া বক্তব্য এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সফরের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে প্রেসবিফ্রিং করে বিএনপির অবস্থান জানানো হবে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ।