হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় যাত্রীবাহী দুটি বাস ও ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উলুকান্দি এলাকায় হওয়া এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার আল আমিন (১৮)। দুর্ঘটনাকবলিত একটি বাসের যাত্রী ছিলেন তিনি।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জের উলুকান্দি এলাকায় ঢাকাগামী পাথরবোঝাই ট্রাককে ধাওয়া করে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ। ট্রাকটি দ্রুতগতিতে পালানোর সময় বিপরীত দিক থেকে আসা সিলেটগামী আশিক পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। একই সময়ে পেছনে থাকা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাককে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুজন।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানা–পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনাকবলিত বাসগুলোর ভেতর থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করেন। আহত অবস্থায় ২০ যাত্রীকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা দাবি করেন, হাইওয়ে থানা-পুলিশ ট্রাককে ধাওয়া করাতেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ কোনো ট্রাককে ধাওয়া করেনি। বাস দুটি একে অপরকে সাইড দেওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চারজনের লাশ হবিগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বাস ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ দেব বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরবোঝাই ট্রাকটি আশিক পরিবহনের একটি বাসকে ধাক্কা দেয়। পরে পেছনে থাকা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস হুমড়ি খেয়ে পড়লে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও সিলেট হাসপাতালে পাঠানা হয়েছে।