চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এক পুলিশ কনস্টেবলের কবজি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার মূল আসামি কবির আহমদকে (৩০) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭-এর একটি দল। এ সময় তাঁর এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাবের এক খুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতকানিয়া সার্কেল) শিবলী নোমান প্রথম আলোকে বলেন, বড়হাতিয়ার পাহাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা বা ১০টার দিকে গোলাগুলি চলার খবর পাওয়া যায়। এর পরপরই পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকার দিকে রওনা দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগাড়ার পদুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন গত ২৪ মার্চ মারামারির অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় পদুয়ার লালারখিল এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে কবির আহমদকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।
গত রোববার সকাল ১০টার দিকে লোহাগাড়া থানার উপপরিদর্শক ভক্ত চন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কবির আহমদকে গ্রেপ্তারের জন্য লালারখিল এলাকার বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে কবির আহমদ গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য ধারালো দা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় দায়ের কোপে কনস্টেবল মো. জনি খানের বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় রোববারই কবির আহমদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন লোহাগাড়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক মুজিবুর রহমান। সেদিনই একই মামলার আসামি কবিরের স্ত্রী রুবি আক্তারকে বান্দরবানের লামা উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।