পুলিশের আশ্বাসে গাংনীতে সাংসদের হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সাংসদ সাহিদুজ্জামান কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন
ছবি: প্রথম আলো

মেহেরপুরের গাংনীতে মেহেরপুর–২ আসনের সাংসদ মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের ঘোষিত হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলা শহরে সাংসদের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে সাহিদুজ্জামান এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংসদ সাহিদুজ্জামানের সঙ্গে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাহিদুজ্জামান বলেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোসারফ হোসেন গাংনীতে সন্ত্রাস করতে চাচ্ছেন। তাঁর কার্যালয়ে নেতা–কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করেন। বিভিন্ন সময় তাঁরা মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি অশান্তির সমাজ তৈরি করতে চাচ্ছেন। আজ বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ নিয়ে মোসারফের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। তবে রমজান মাসে মানুষের ভোগান্তি ও পুলিশের আশ্বাসের কারণে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশ মোসারফের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে আবার নতুন কর্মসূচি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ রাজপথে সক্রিয় থাকবে।

মকলেছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, একটি সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার রাতে যুবলীগ সভাপতি মোসারফ হোসেনের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান ও তাঁর অনুসারীদের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মোসারফ তাঁর পিস্তল দিয়ে চারটি গুলি ছোড়েন। এ অবস্থায় মোসারফের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল প্রত্যাহার করা হয়।

গতকাল দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবে সাংসদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন হয়। এ নিয়ে গাংনী উপজেলা যুবলীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা গাংনী পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা যুবলীগ কার্যালয় দখল নিতে গেলে সেখানে চারটি গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোসারফ হোসেনকে আটক করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি ও কাল বুধবার গাংনী উপজেলায় হরতাল পালনের হুমকি দিয়েছিলেন সাহিদুজ্জামান।

জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার রাফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যুবলীগের সভাপতি মোসারফ হোসেনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। পরে গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মোসারফ হোসেনের কাছে বন্দুকের লাইসেন্স আছে। এ ঘটনার পর তাঁর লাইসেন্সটি থাকবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকালের ঘটনায় রাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।