পুকুরে হাঁস ধরা দেখতে মানুষের ভিড়

ছেড়ে দেওয়া হাঁস ধরতে পুকুরে সাঁতার কাটছেন প্রতিযোগীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

পুকুরে দুটি হাঁস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো ধরার জন্য এক দল যুবক সেই ঠান্ডা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। এরপর আরেক দল কিশোর। সবার তাড়া খেয়ে হাঁস দুটি আর পালানোর পথ পেল না। যে দুজন হাঁস দুটি ধরলেন, তাঁরা বিজয় দিবসের পুরস্কার হিসেবে পেলেন হাঁস দুটি।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীতে উত্তরবঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থা এ রকম মজার ৩৩টি খেলার আয়োজন করে। নগরের পাঠানপাড়া ঈদগাহ ময়দানে এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। পাশের পুকুরেই হাঁস ধরা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুরের চারপাশে শত শত মানুষ এই মজার খেলা দেখার জন্য ভিড় জমায়। এমনকি ঈদগাহের প্রাচীরের ওপরে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা উঠে পড়ে। পুকুরে হাঁস ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগীরা পানিতে ঝাঁপ দেন। আর চারদিকে শোরগোল পড়ে যায়। করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে পুকুরপাড়। যে যখন হাঁস ধরে নিয়ে উঠে আসছে, তাঁকে ঘিরে ধরছেন দর্শনার্থীরা। মুঠোফোনে ছবি তোলার জন্য হিড়িক পড়ে যাচ্ছে।

বিজয়ীর পুরস্কার হাঁস তুলে দিচ্ছেন অতিথিরা

যুবকদের প্রতিযোগিতায় হাঁস জিতে নেন মেহেদী হাসান ও কিশোরদের প্রতিযোগিতায় তাজমির হোসেন। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর রাসেল জামান।

অনুষ্ঠানের আয়োজক ও উত্তরবঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, প্রতিবছরই বিজয় দিবসে তাঁদের এসব খেলার আয়োজন থাকে। এবার তাঁরা ৩৩টি ইভেন্টের আয়োজন করেছেন। খেলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পানিতে হাঁস ধরা, মাঠে মোরগ ধরা, পানিতে বালিশ খেলা, বস্তা দৌড়, অঙ্ক খেলা, দড়ি খেলা, দড়ি টানা, জোড় পায়ে দৌড়, বিস্কুট দৌড়, ব্যাঙ দৌড়, চেয়ার খেলা, বালিশ খেলা, কলশি মাথায়, হাঁড়ি ভাঙা, জোরে হাঁটা, চেয়ার খেলা, ভাই সাজাবে ভাবীকে, ভাবী খুঁজবে ভাইকে, হামাগুড়ি খেলা, কবুতর ধরা, যেমন খুশি তেমন সাজো, মার্বেল চামুচ, চকলেট আটাসহ বিভিন্ন দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতা। দিনব্যাপী এই খেলাগুলো চলে।