পিরোজপুর শহরের মধ্যরাস্তা মহল্লায় ঝুমুর আক্তার নামের ১৫ মাসের শিশুকে হত্যার দায়ে সৎমা মণি বেগমকে (২৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মুহা. মুহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মণি বেগম বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সোনাকুর আন্দারমানিক গ্রামের মো. জাহিদুল শেখের স্ত্রী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল শেখ পিরোজপুর শহরের মধ্যরাস্তা মহল্লায় দুই স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। জাহিদুল শেখের প্রথম স্ত্রী মণি বেগমের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা বেগমের প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। এর জের ধরে মণি বেগম তাঁর সতিনের মেয়ে ঝুমুর আক্তারকে অপহরণ করে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর ঘুমিয়ে থাকা মুক্তা বেগমের পাশ থেকে মেয়ে ঝুমুরকে তুলে নিয়ে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেন মণি বেগম। পরদিন সকালে পুকুরে লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ওই দিন এ ঘটনায় নিহত ঝুমুরের মা মুক্তা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৬ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিরোজপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন আসামি মণি বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বিচারক আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (এস্টেট ডিফেন্স) ফাতেমা আক্তার।