স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। সরকার শান্তি চুক্তি করেছে শান্তিতে বসবাস করার জন্য। সুতরাং আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হলরুমে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
সমতলের মতো পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘শান্তি চুক্তি মোতাবেক যে স্থানগুলো থেকে সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনে সেই পরিত্যক্ত সেনাক্যাম্পগুলোতে চাঁদাবাজি বন্ধ রাখতে পুলিশ, আনসার, বিজিবি এমনকি র্যাব মোতায়েন করা হবে।’
এর আগে দুপুরে খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা আর রক্ত ঝরাতে চাই না। শান্তির সুবাতাস বয়ে দিতে চাই। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের কিছু অপূর্ণতা রয়েছে। অবাস্তবায়িত ধারাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।’
পাসপোর্ট সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, পাসপোর্ট অফিসে এসে যেন কাউকে হয়রানির শিকার হতে না হয়, বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এখন থেকে বাসায় বসে ই-পাসপোর্ট করা যাবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাংসদ বাসন্তী চাকমা, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার মো. শাহরিয়ার জামান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী।