পাবনায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে চাটমোহর উপজেলায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই রোগী শনাক্ত হওয়ার পর রাতে পুরো উপজেলা লকডাউনের সিদ্ধান্ত জানায় উপজেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে এই লকডাউন চলছে।
উপজেলা প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী আজ সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। এর ফলে চাটমোহর উপজেলার সঙ্গে জেলার সব উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। এই সময়ে কেউ ওই উপজেলায় ঢুকতে ও উপজেলা থেকে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না।
৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে এক যুবক (৩২) উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের একটি গ্রামে এসে ঠান্ডা ও কাশিতে আক্রান্ত হন। ১৪ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠায়। গতকাল সন্ধ্যায় নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেয়েই রাতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল ওই যুবকের বাড়িতে যায়। সেখানে যুবকের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে তাঁকে স্থিতিশীল অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অবস্থা বিবেচনায় পুরো উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ৭ এপ্রিল এলাকায় ফিরে ঘোরাঘুরি করেছেন। ফলে অবস্থা বিবেচনায় পুরো উপজেলা লকডাউন করা হয়েছে। এই সময়ে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া কোনো যানবাহন উপজেলাটিতে ঢুকতে পারবে না। উপজেলা থেকে কোনো ব্যক্তি কোথাও যেতে এবং অন্য উপজেলা থেকে কেউ চাটমোহরে আসতে পারবেন না।
ইউএনও সরকার মোহাম্মদ রায়হান আরও বলেন, উপজেলার সব কাঁচাবাজার বেলা ১১টা ও জরুরি পরিষেবার দোকান বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। অন্য সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।