খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতিবেশী দুই তরুণের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর ২০ ঘণ্টা আগে দুজনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিরহের স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তবে তাঁরা ‘আত্মহত্যা’ করতে পারেন বলে ধারণা ছিল না পরিবারের।
মারা যাওয়া দুজন হলেন জয় সাঁওতাল (২১) ও কবির হোসেন (২৩)। তাঁরা দুজনই পানছড়ি উপজেলার সাঁওতাল পাড়ার বাসিন্দা।
জয় সাঁওতাল পানছড়ি সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি টুইলা সাঁওতাল ও হ্যাপী সাঁওতালের ছেলে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি নিজের ঘরে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে কবির হোসেন একই গ্রামের মো. হারুন অর-রশিদের ছেলে। তিনি পানছড়ি কেব্ল লাইনের মেকানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কবির দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বিষপান করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসারত অবস্থায় আজ শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
জয়ের বাবা টুইলা সাঁওতাল বলেন, গতকাল পরিবারের সবাই গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। জয়কে যাওয়ার জন্য জোর করলেও সে যেতে চাননি। সন্ধ্যায় সবাই বাড়িতে এসে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় ভেঙে ঘরে ডুকে ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলেকে দেখতে পান। জয় আত্মহত্যা করবে তাঁরা কেউ ভাবতে পারেননি। গতকালও প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছিলেন।
কবির হোসেনের বাবা হারুন-অর-রশিদ বলেন, মাসখানেক আগে থেকে তার ছেলের আচরণে পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছিল। কথা কম বলত এবং সামান্য কথাতেই রেগে যেত। তবে আত্মহত্যা করবে এমন ধারণা কেউ করতে পারেননি।
পানছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই ব্যাপারে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা হয়নি। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।