গত তিন দিনের তুলনায় আজ রোববার সকালে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ কম। যান পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ঈদে ঘরমুখী মানুষের ঢল ছিল। আজ সকালে সে তুলনায় ফেরিতে যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম। তবে কিছুটা চাপ রয়েছে লঞ্চযাত্রীদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় ও ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আজ সকাল নয়টার সময় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গত তিন দিন এখানে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ ছিল। ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদের। আজ পরিস্থিতি সেই রকম নেই। তবে স্থানীয় বাসে (কাটাগাড়ি) করে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার অনেক যাত্রী লঞ্চে করে পার হচ্ছেন। এসব যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা বেশি। তাঁরা স্থানীয় বাসে করে ঘাট এলাকায় এসে নেমে পড়েন এবং লঞ্চে করে পাটুরিয়া প্রান্ত থেকে দৌলতদিয়ায় পৌঁছান। ওই বাসগুলো ফেরি পার হয় না। দৌলতদিয়া ঘাটে ২৪টি লঞ্চ এবং ২০টি ফেরিতে পারাপার চলছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ মুহূর্তে ৭০ থেকে ৮০টির মতো যাত্রীবাহী বাস ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে।
বিআরটিসির আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো.সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গত তিন দিন সবচেয়ে বেশিসংখ্যক যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হয়েছে। আজ যানবাহন কম থাকায় ফেরিঘাটে কোনো ভিড় নেই। যানবাহন আসা মাত্রই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাটের পরিস্থিতি এখন একদম স্বাভাবিক।
পাটুরিয়া ঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিকের পরিদর্শক রাসেল আরাফাত জানান, যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে ফেরি পারাপার হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাট টার্মিনালে সাধারণ পণ্যবাহী দুই শতাধিক যানবাহন বসিয়ে রেখে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। তবে তিনি বলেন, ঘাটের অবস্থা পরিবর্তনশীল। একেক সময় একেক রকম পরিস্থিতি হয়। এ মুহূর্তে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও পরে চাপ বাড়তেও পারে।