রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের সেই আমবাগানের পাখির বাসার জন্য বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে জেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বরাদ্দ চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। ওই টাকা আমবাগানের মালিক বা ইজারাদারদের দেওয়া হবে।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে শামুকখোল পাখিরা বাসা বেঁধেছে। পাখিগুলো চার বছর ধরে বর্ষার শেষে এসে ওই বাগানে বাচ্চা ফোটায়। গত ২৯ অক্টোবর বাগানের মালিক একটি গাছের কয়েকটি বাসা ভেঙে দেন। স্থানীয় পাখিপ্রেমীদের অনুরোধে তিনি পাখিদের বাসা ছাড়ার জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন। পরদিন প্রথম আলোয় ‘পাখিদের উচ্ছেদের ১৫ দিন সময় বাগানমালিকের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে এনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রজ্ঞা পারমিতা রায়। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এক আদেশে ওই এলাকাটি অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হলে বাগানমালিক ও বাগানের ইজারাদারের ক্ষতির সম্ভাব্য পরিমাণ নিরূপণ করে ৪০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে বাঘা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তিনি ও বাঘার ইউএনও শাহীন রেজা বাগানে গিয়ে জরিপ করে দেখেছেন, ৩৮টি আমগাছে পাখিরা বাসা বেঁধেছে। তাঁরা ওই গাছগুলোর আমের সম্ভাব্য দাম ও পরিচর্যাব্যয় নিরূপণ করেছেন। তাঁদের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতি হতে পারে। এরপর তাঁরা রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গত মঙ্গলবার প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে।