বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার এই পাঁচ জেলায় ডেঙ্গু জ্বরে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এই হার গত কয়েক দিনের চেয়ে কম।
উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। জটিল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কয়েকজনকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলেও কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে কক্সবাজারের টেকনাফে একজন নারী চিকিৎসক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন।
ফেনীতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৭২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। ১০৬ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
নোয়াখালীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমেছে বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১২ জন রোগী। জেলা সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান গতকাল বিকেলে বলেন, আগের দুই দিনের তুলায় হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি কিছুটা কমেছে। এতে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে বলা যায়। তিনি জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ১৯২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে এসেছেন। বর্তমানে ভর্তি আছে ৬৭ জন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গতকাল ভর্তি হয়েছে তিনজন। সব মিলিয়ে গত ১৫ দিনে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ২১ জন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহীন আবদুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কক্সবাজারে নানামুখী প্রচারণা চলছে। হাসপাতালে ‘ ডেঙ্গু সেল’ ইউনিট চালু হয়েছে।
এদিকে জেলার টেকনাফ উপজেলায় একজন নারী চিকিৎসক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত চিকিৎসক সুলতানা রাজিয়া (২৪) টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপসহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল জরুরি বিভাগে তাঁর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলায় আরও ১৩ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। লক্ষ্মীপুরে এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ কারণে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক রোগী।
খাগড়াছড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ৩১ জন রোগী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। একজন জটিল রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলায় রোগ দমনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান।