স্বাধীনতার ৫০ বছরে রাজধানী ঢাকা যেমন বড় হয়েছে, তেমনি সম্প্রসারিত হয়েছে দেশের পুরোনো শহরগুলোও। বড় শহরের পরিবর্তন ও বাসযোগ্যতা নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজনে এবার ফরিদপুর।
ফরিদপুরে যাওয়ার ‘নিমন্ত্রণ’ জানিয়ে পল্লিকবি জসীমউদ্দীন লিখেছিলেন, ‘তুমি যাবে ভাই, যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়/ গাছের ছায়ায় লতায়-পাতায় উদাসী বনের বায়।’
কবি জসীমউদ্দীন ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামটি ফরিদপুর শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। তবে কবির বাসস্থান ছিল গোবিন্দপুর গ্রামে। কুমার নদের তীরের এই গ্রাম এখন ফরিদপুর শহরের অংশ। ১৯৭৬ সালে কবির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সত্তরের দশকে ফরিদপুর শহরে দুটি বহুতল ভবন ছিল। শহরটি ছিল খোলামেলা ও ফুলের বাগানে ভরা। এখন ফরিদপুর পৌরসভায় ৬ থেকে শুরু করে ১৭ তলা পর্যন্ত উচ্চতার ভবন হয়েছে ১৮০টি। শহর বড় হয়েছে। কিন্তু কোথাও কোনো পরিকল্পনার ছাপ নেই। পল্লিকবির সেদিনের ছিমছাম শহর, যে শহরে সবাই ‘মায়া-মমতায় জড়াজড়ি করে মায়ের বুকে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়ায়’ বসবাস করতেন, সেই শহর হয়ে উঠেছে বহুতল ভবনের জঞ্জাল।
ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক রমেন্দ্রনাথ রায় কর্মকার বলেন, এ শহরে বসবাসরত পরিবারগুলোর আন্তযোগাযোগ ছিল খুবই হৃদ্যতাপূর্ণ। কে হিন্দু, কে মুসলিম—কোনো বাছবিচার করা হতো না। পাড়ায় পাড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা লেগেই থাকত। সে ছিল এক অন্য রকম দিন।
১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় ফরিদপুর ঢাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফরিদপুর নামে জেলার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৮৫০ সালে। ওই বছর লর্ড ডালহৌসি ঢাকা জেলাকে ভেঙে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি করেন। নামকরণ করা হয় প্রখ্যাত সুফি সাধক শাহ শেখ ফরিদ উদ্দিনের নামানুসারে। জেলার আগের নাম ছিল ফতেহাবাদ।
প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক মো. শাহজাহান বলেন, ছিমছাম, নিরিবিলি শহর ছিল ফরিদপুর। এমন অনেকেই আছেন সরকারি চাকরি করতে এসে ফরিদপুরকে ভালোবেসে এখানেই স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছেন। তাঁদের কাছে ফরিদপুরের আকর্ষণের মূলে ছিল, এ শহরে সারা বছর তাজা শাকসবজি, তাজা মাছ বিশেষত পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায়।
১৮৬৯ সালের ১ এপ্রিল ফরিদপুর পৌরসভা যাত্রা শুরু করে। ১৯৮৬ সালে ‘এ’ গ্রেডের পৌরসভায় উন্নীত হয়। ২০১৮ সালে সিটি করপোরেশন করার জন্য ফরিদপুর পৌরসভাকে সম্প্রসারণ করা হয়। তবে সিটি করপোরেশন বাস্তবায়িত না হলেও ৯ ওয়ার্ডের পৌরসভাকে আশপাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের জায়গা নিয়ে ২৭ ওয়ার্ডবিশিষ্ট সম্প্রসারিত একটি পৌরসভায় রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে ফরিদপুর পৌরসভার আয়তন প্রায় চার গুণ বেড়ে ৬৬ দশমিক ৩১ বর্গকিলোমিটার হয়েছে। জনসংখ্যাও প্রায় চার গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩২ জন।
ফরিদপুর শহরটি দেশের মানচিত্রের মধ্যভাগে পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। পদ্মার শাখা কুমার নদ শহরকে দুই ভাগ করে বয়ে গেছে। শহরের ভাটিলক্ষ্মীপুর মহল্লার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মুমিনুল হক জানান, ফরিদপুরকে বলা হতো এক রাস্তার সড়ক। টেপাখোলা থেকে পুরোনো বাসস্ট্যান্ড—এই আড়াই কিলোমিটার পার হলেই শহরটি দেখা শেষ হয়ে যেত। সেদিনের সেই শহরের ব্যাপ্তি আজ পূর্বে সিঅ্যান্ডবি ঘাট থেকে শুরু করে পশ্চিমে কানাইপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এবং উত্তরে আদমপুরের মেরিন একাডেমি থেকে শুরু করে দক্ষিণে মুন্সীবাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
ফরিদপুরে সত্তরের দশক পর্যন্ত যে দুটি বহুতল স্থাপনা ছিল, তার একটি চৌরঙ্গী ভবন, অপরটি স্টেডিয়াম ভবন। সীমানাপ্রাচীর ছিল শুধু ফরিদপুর কারাগার, স্টেডিয়াম এবং ফরিদপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। বড় বড় বহুতল ভবন হওয়া শুরু হয়েছে ২০ বছরে ধরে।
প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক মো. শাহজাহান বলেন, ছিমছাম, নিরিবিলি শহর ছিল ফরিদপুর। এমন অনেকেই আছেন সরকারি চাকরি করতে এসে ফরিদপুরকে ভালোবেসে এখানেই স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছেন। তাঁদের কাছে ফরিদপুরের আকর্ষণের মূলে ছিল, এ শহরে সারা বছর তাজা শাকসবজি, তাজা মাছ বিশেষত পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায়।
ফরিদপুর শহরে পরিকল্পনার কোনো বালাই নেই। পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দেশের ২৬৪টি পৌরসভায় ২০ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনার উদ্যোগ নেয়। সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। পরে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে আরেকটি পরিকল্পনা করা হয়।
ফরিদপুর পৌরসভার নগর-পরিকল্পনাবিদ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ফরিদপুর পৌরসভার নগর-পরিকল্পনার দুটির কোনোটিই গেজেটভুক্ত হয়নি। তবে এলজিইডির পরিকল্পনাটি গেজেটভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘তবে তাতেও আমাদের বিশেষ কাজে আসবে না। কেননা ওই পরিকল্পনা করা হয়েছে ফরিদপুর পৌরসভা সম্প্রসারিত হওয়ার আগের আয়তনের ভিত্তিতে।’
শহরবাসীর যন্ত্রণার আরেকটি কারণ, ইটভাঙার মেশিন ও সড়কের পাশে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা। এ ব্যাপারে শহরবাসী একাধিকবার পৌরসভার কাছে অভিযোগ জানালেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছু জোটেনি। একটু বৃষ্টি হলে ভাঙা রাস্তার মোড়, থানার মোড়, অম্বিকা সড়কসহ বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস প্রথম আলোকে বলেন, ইটভাঙার যন্ত্র শহরবাসীর কাছে একটি যন্ত্রণা হয়ে উঠেছে। শহরে ইটভাঙা বন্ধ করার জন্য নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইটভাটা থেকে ভেঙে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নির্মাণসামগ্রীর কারণে রাস্তায় যাতে যানজট না হয়, সে ব্যাপারে কঠোর তদারক করা হবে। অপরিকল্পিত নর্দমা, সংস্কার না করায় বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতা দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক রমেন্দ্রনাথ রায় কর্মকার বলেন, এ শহরে বসবাসরত পরিবারগুলোর আন্তযোগাযোগ ছিল খুবই হৃদ্যতাপূর্ণ। কে হিন্দু, কে মুসলিম—কোনো বাছবিচার করা হতো না। পাড়ায় পাড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা লেগেই থাকত। সে ছিল এক অন্য রকম দিন।
ফরিদপুরে রয়েছে ১৮৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা। এর মধ্যে কার্পেটিং করা ৯৯ কিলোমিটার। ইট বিছানো সড়ক আছে ৫ কিলোমিটার, আর কাঁচা সড়ক ৭০ কিলোমিটার। বেশ কয়েকটি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। শহরে ১৭১ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার নর্দমা রয়েছে। নর্দমার বর্জ্য সব কুমার নদে ফেলা হয়। এর ফলে নদের পানি দূষিত হচ্ছে। নর্দমাগুলো বেশির ভাগই সচল নয়। মাঝেমধ্যে পৌরসভার উদ্যোগে নর্দমার কাদামাটি তুলে সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়।
ফরিদপুর শহরে টাউন সার্ভিসের কোনো ব্যবস্থা নেই। গণপরিবহন বলতে রিকশা, ইজিবাইক, অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল আছে। গণপরিবহন ব্যবস্থাপনার কোনো বালাই নেই। যেখানে-সেখানে ইজিবাইক, অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়। প্রায় সাত হাজার ইজিবাইক ও অটোরিকশা এ শহরে চলাচল করে। পৌরসভা ইজিবাইক ও অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেও তা কার্যকর করতে পারেনি। সম্প্রতি পুলিশের উদ্যোগে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে সুপারমার্কেট পর্যন্ত একমুখী চলাচলের (ওয়ানওয়ে) ব্যবস্থা করে দেওয়ায় যানজট কিছুটা হলেও কমেছে।
ফরিদপুর একটি অপরিচ্ছন্ন শহর হয়ে উঠেছে। পৌরসভার উদ্যোগে ঝাড়ু দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও তা গুটিকয়েক সড়কের মধ্যে সীমাবদ্ধ। নাগরিকদের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতার কারণে শহরটি পরিষ্কার রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস বলেন, যেসব সড়কের বেহাল অবস্থা, তার অনেকগুলোর দরপত্র হয়ে গেছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। তবে নর্দমার বর্জ্য আপাতত কুমার নদে ফেলা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য আরও সময় দিতে হবে।
গর্ব করে ফরিদপুরকে অনেকে বলেন স্বাস্থ্যনগরী। কিন্তু স্বাস্থ্যসেবার মান প্রশ্নবিদ্ধ। আকাশছোঁয়া বড় বড় অট্টালিকা রয়েছে; আছে চাকচিক্য আর প্রচার-প্রচারণার ফুলঝুরি। কিন্তু সেই অনুপাতে সেবা নেই। শহরটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে পরিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেবা নিতে আসা এ শহরের এবং আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয়। সরকারি হাসপাতালগুলোতে রয়েছে চিকিৎসক ও জনবলের সংকট। রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য।
৫০০ শয্যার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিনে সাড়ে ছয় শ থেকে সাড়ে সাত শ রোগী ভর্তি থাকে। ওই হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, হাসপাতালে জনবলের সংকট রয়েছে। চিকিৎসকের ২৩৬টি পদের মধ্যে ১০৬টিই শূন্য। একই অবস্থা চলছে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালেও। এখানে ৩৭ জন চিকিৎসকের বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৪ জন।
ফরিদপুরে শতবর্ষী বেশ কিছু স্কুল ও কলেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ফরিদপুর জিলা স্কুল ১৮৪০ সালে স্থাপিত। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের বয়সও ১০৪ বছর। শহরে আরও কয়েকটি শতবর্ষী বিদ্যালয় রয়েছে। এই অঞ্চলে রাজেন্দ্র কলেজের রয়েছে সুনাম। এ কলেজ প্রতিষ্ঠায় ফরিদপুরের কৃতী সন্তান অম্বিকাচরণ মজুমদার এবং সদরপুরে বাইশ রশি জমিদারবাড়ির অবদান রয়েছে। ফরিদপুরের যাবতীয় আন্দোলনের সূতিকাগার এ কলেজ। এই কলেজে পড়াশোনা করেছেন পল্লিকবি জসীমউদ্দীন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন প্রমুখ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতি মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ফরিদপুর কৃষি কলেজ, ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি অন্যতম।
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা বলেন, এ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি ছাড়াও ১৯টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৮টি বিষয়ে স্নাতকোত্তরে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ৫৪ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজে শিক্ষার্থী ২৮ হাজারের বেশি।
দীর্ঘদিন ধরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা বিরাজ করছে। শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সরকারিভাবে কিছু কাজ হলেও বেসরকারি উদ্যোগে বছরে হাতে গোনা দু-একটি অনুষ্ঠান হয়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন চলছে নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তির একক আধিপত্যে। নতুনদের প্রবেশের অধিকার সেখানে সীমিত।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ড চলছে দাবি করে ফরিদপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, ‘সরকারি নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আমরা বিভিন্ন সংগঠন যোগ দিচ্ছি। সংগঠনগুলো বিরতি দিয়ে হলেও ছোট ছোট কাজ করছে।’
ফরিদপুর শহরে দুটি সিনেমা হল ছিল। একটি বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে, আরেকটি চলে না চলার মতো। বেশ কয়েকটি মাঠে শিশু-কিশোরেরা খেলাধুলা করে। কিশোরদের বিনোদনের বিশেষ কোনো জায়গা নেই। ফরিদপুর শেখ রাসেল পৌর পার্ক নামে একটি পার্ক আছে শহরের গোয়ালচামট এলাকায়। পার্কটিতে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য অভিভাবকেরা সেখানে সন্তানদের নিয়ে যেতে চান না।
অনেক অপূর্ণতার পরও একবুক স্বপ্ন নিয়ে সোনালি আগামীর প্রত্যাশা এ শহরের বাসিন্দাদের। ফরিদপুর সিটি করপোরেশন হবে—এটাই আশা মানুষের। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের শত বছরের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে। আগামী জুনেই হবে এর উদ্বোধন। তারপর উন্নতির ধারায় নিজের নামটি অন্তর্ভুক্ত করবে ফরিদপুর—এই এলাকার মানুষের এটিই প্রত্যাশা।