দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র পটুয়াখালীর কুয়াকাটা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এ নির্দেশ ঘোষণা করা হয়। এ সময় এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সৈকত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের বরাত দিয়ে কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন স্থানে পর্যটন পুলিশ মাইকিং করে পর্যটকদের ফিরে যেতে বলে। ওই নির্দেশ পাওয়ার পর সৈকতের কাছের এলাকাগুলোর অনেক পর্যটক কুয়াকাটা ছেড়ে চলে গেছেন। তবে দূরের এলাকাগুলোর পর্যটকেরা কুয়াকাটা ত্যাগ করতে পারেননি।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘আমরা জেলা প্রশাসনসহ পুলিশের পক্ষ থেকে নির্দেশ পেয়েছি। জেলা প্রশাসন বলেছে, হোটেল-মোটেল থেকে দ্রুত পর্যটকদের চলে যেতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো পর্যটককে কুয়াকাটায় আবাসিক সুবিধা না দেওয়ার বিষয়েও জেলা প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে। এমন নির্দেশের বিষয়টি আমরা কুয়াকাটার শতাধিক আবাসিক হোটেলের মালিকদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি।’
ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যটকদের কুয়াকাটা ত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে অনেকে কুয়াকাটা ছেড়েছেন। দূরের যাঁরা আছেন, কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁরাও যাঁর যাঁর বাড়িতে ফিরে যাবেন।’ তিনি আরও বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোটেল-মোটেলে কক্ষ বুকিং না দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। খাবার হোটেলের বেচাকেনাও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি কুয়াকাটা সৈকত এলাকা থেকে সব ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।’