পদ্মা সেতুর ২৪টি ল্যাম্পপোস্টে পরীক্ষামূলকভাবে বাতি প্রজ্বালন করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে বাতিগুলো জ্বালানো হয়।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ১২ থেকে ১৯ নম্বর স্প্যানের মোট ২৪টি ল্যাম্পপোস্ট পরীক্ষামূলকভাবে বাতি প্রজ্বলিত করার কাজ চলছে। সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে সাতটা পর্যন্ত কাজ করে তাঁরা ২৩টির বাতি জ্বালাতে সক্ষম হন। পরে আরও একটি পোস্টের বাতি জ্বলে।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শেষ হয় ১৮ এপ্রিল।
এর আগে ২৪ মে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪২ নম্বর পিলারে সেতুর সাবস্টেশনে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়। শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে ৮০ কিলোওয়াট ও মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দেওয়া আরও ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুতে সেতুর ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হবে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি মাসে প্রতিবেদন তৈরি করে সেতু বিভাগ। সর্বশেষ গত বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, মে পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৯৯ শতাংশ। বাকি ১ শতাংশ কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে সেতুতে যানবাহন চলাচলের পথে সাইন–সংকেত ও পথনির্দেশক (রোড মার্কিং) চিহ্ন দেওয়ার কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। ১০ জুনের মধ্যে এই কাজও শেষ হবে। সড়কবাতি (ল্যাম্পপোস্ট) স্থাপনের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। এখন শুধু বাতি জ্বালাতে বৈদ্যুতিক সংযোগসহ শেষ মুহূর্তের আনুষঙ্গিক কাজ চলছে।
সেতুর কংক্রিটের দেয়ালের ওপর স্টিলের রেলিং বসানোর কাজ চলমান। কাজটি অনেক আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জাহাজে রেলিংয়ের সরঞ্জাম আসতে দেরি হয়েছে। এই কাজও ১৫ জুনের মধ্যে শেষ করতে চান প্রকল্প কর্মকর্তারা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। মে পর্যন্ত সার্বিক ব্যয় হয়েছে ২৭ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।