বিস্ফোরণের আগে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। সে খবর শুনে ডিপোতে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী শহীদুল ইসলাম (১৫)। এর কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণ ঘটে। শহীদুল বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে, তা জানে না পরিবারের কেউ।
পড়াশোনার পাশাপাশি ডিপোতে অফিস সহায়কের কাজও করত শহীদুল। আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত তার খোঁজ মেলেনি। বিস্ফোরণের পর থেকেই ছেলের ছবি আর পরিচয়পত্র হাতে আশপাশের এলাকায় ছোটাছুটি করছেন মা আয়েশা বেগম।
মা–বাবার পাঁচ সন্তানের মধ্যে শহীদুল দ্বিতীয়। মা–বাবাকে সহায়তা করতে ১৪ দিন আগে এই ডিপোতে কাজ শুরু করে সে। আয়েশা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী জাকির হোসেনও বিএম কনটেইনার ডিপোতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। শহীদুল গতকাল রাতে কাজ শেষে বাসায় ফিরলেও আগুন লাগার খবর পেয়ে তা দেখতে যায়। বিস্ফোরণের পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ
রাত ১০টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার আশা সেনাবাহিনীর
‘পুড়ে যাচ্ছি, মরে যাচ্ছি’ বলতে বলতেই মারা গেলেন মহিউদ্দিন
ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে বিস্ফোরণ, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সোবহানের
ডিপোতে দাঁড়িয়ে করছিলেন ফেসবুক লাইভ, হঠাৎ বিস্ফোরণে গেল প্রাণ
শহীদুল সীতাকুণ্ডের এম এ রাজা কাশেম উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল এলাকায়। বাবার চাকরি সূত্রে সীতাকুণ্ডে থাকত।
আলাপের একপর্যায়ে আহাজারি করতে করতে আয়েশা বলে ওঠেন, ‘আমার মানিককে এনে দাও। আমার সোনার চাঁদকে এনে দাও তোমরা।’
বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত জীবিত অথবা মৃত কোনো অবস্থাতেই শহীদুলের সন্ধান পাননি আয়েশা বেগম।