মাত্র চার দিনের ব্যবধানে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে আবারও কাকলি নামে ছোট একটি ফেরির ধাক্কা লেগেছে। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। আজ পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়া মো. আবদুল কাদের প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ নিয়ে গত জুলাই ও আগস্টে পদ্মা সেতুর তিনটি পিলারে চারবার ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটল। এ ব্যাপারে মাওয়া নৌ পুলিশের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে আবারও একটি ছোট ফেরি পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে তেমন কোনো ক্ষতির খবর এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি।’
বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম আলোকে বলেন, কাকলি নামে ছোট ফেরিটি সকাল পোনে ছয়টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। যাওয়ার পথে ফেরিটি সেতুর পিলারে ধাক্কা দেয়। ওই ফেরি আর এই বাংলাবাজারে ফিরে আসেনি।
বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আরও বলেন, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে এই সমস্যা বারবার হচ্ছে। এক দিনের ব্যবধানে পদ্মায় পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানি বেড়েছে। তাই স্রোত আগের তুলনায় আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় ছোট–বড় সব ফেরি চালানো ভয়াবহ ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পদ্মা সেতুর পিলারে আবার ফেরির ধাক্কা লাগার পর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল আড়াই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এর ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হন উভয় পাড়ের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
বিএআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ২০ জুলাই প্রথম পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রো রো ফেরি শাহ মখদুমের তলা ছিদ্র হয়ে যায়। ২৩ জুলাই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি শাহজালাল ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর গত সোমবার সন্ধ্যায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ১০ নম্বর পিলারে সজোর ধাক্কা খায়। এসব ঘটনায় সেতুর পিলারের পানির লাগোয়া অংশে (পাইল ক্যাপ) পলেস্তারা উঠে গর্তের সৃষ্টি করেছে।