পদ্মা সেতুর স্প্যানের নিচের অংশে রেলস্লাব বসানোর কাজ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার জাজিরা প্রান্তে
পদ্মা সেতুর স্প্যানের নিচের অংশে রেলস্লাব বসানোর কাজ চলছে। 
আজ বৃহস্পতিবার জাজিরা প্রান্তে

পদ্মা সেতুতে প্রথম দিন থেকেই চলবে ট্রেন: রেলপথ মন্ত্রী

পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। সেতুতে প্রথম দিন থেকেই গাড়ির সঙ্গে রেল যোগাযোগও চালু হবে। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আজ বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।

মন্ত্রী জানান, ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেলের কাজ ৪৬ শতাংশ আর জাজিরা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর ওপর সড়কপথের নির্মাণকাজের সঙ্গে সমান হারে এগিয়ে চলছে রেলপথ নির্মাণের কাজ।

মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে এত দিন অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কখনো স্রোতে, কখনো নাব্যতা সংকটে, কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সেই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সেতু নির্মিত হচ্ছে, যা এখন দৃশ্যমান। পদ্মা সেতুর সুফল পাওয়া শুরু করলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়বে। ২ ভাগ জিডিপি বাড়বে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য বিরাট অবদান হবে।

সেতু বিভাগের প্রকৌশলীরা জানান, পদ্মা সেতুতে ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে, যাতে সেতুর ৪ দশমিক ৬৫০ কিলোমিটার দৃশ্যমান। সর্বশেষ ১০ জুন সেতুতে স্প্যান বসানো হয়। এরপর পদ্মায় পানি বেড়ে যাওয়ায় স্প্যান বসানোর কাজ থেমে যায়। চলতি মাসে দুটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা ছিল সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে তৃতীয় দফায় পদ্মায় পানি বেড়েছে। এতে এ মাসে স্প্যান বসানোর সম্ভাবনা নেই। মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ৭টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে। আর বাকি ৩টি স্প্যান রং করার কাজ চলছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সবগুলো স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সেতু বিভাগের।

সেতুতে গাড়ি চলাচলের জন্য সড়ক নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডস্লাব। এর মধ্যে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১০১০টি। চলতি মাসে রোডস্লাব বসানোর সংখ্যা হাজার ছাড়াবে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে। পদ্মা সেতুর স্প্যানের নিচের অংশে রেলপথে জন্য লাগবে ২ হাজার ৯৫৯টি স্লাব। এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৫৮৪টি।

সেতুর জাজিরা অংশে সেতুতে উঠে সড়কপথ ও রেলপথ নির্মাণে ব্যস্ত দেখা গেছে প্রকৌশলী ও শ্রমিকদের। নির্মাণকাজের প্রয়োজনে সেখানে ট্রাক ও তিন চাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। আর প্রকৌশলীরা রোডস্লাব বসানো দুই কিলোমিটার অংশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে চলাফেরা করছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায়।