পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জের ৪টি উপজেলার ৮৮টি গ্রামে বিদ্যুতায়নের কাজ করছে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এর ফলে ওই গ্রামগুলোর ৯ হাজার ৭০৮ জন গ্রাহক বিদ্যুতের আওতায় আসবেন। আগামীকাল সোমবার প্রথম পর্বে বিদ্যুৎ–সংযোগ পাচ্ছে ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ১৯৭টি পরিবার।
ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর তীরসংলগ্ন ফরিদপুর সদরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট ও ভূইয়াবাড়ী ঘাট এবং চরভদ্রাসন উপজেলার চর হাজিগঞ্জ ঘাট ও গোপালপুর ঘাট থেকে পদ্মা নদীর তলদেশ দিয়ে মোট ছয় কিলোমিটার পথ সাবমেরিন কেবল টেনে চর এলাকায় এই বিদ্যুৎ প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর এই কাজ শুরু হয়। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক, চর ঝাউকান্দা ও চর হরিরামপুর ইউনিয়নের ৩ হাজার ১৮৫টি পরিবার, সদরপুর উপজেলার নাসিরপুর ও ঢেউখালী ইউনিয়নের ৬০০ পরিবার, ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ১ হাজার ৮৮০ পরিবার এবং পাশের মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আজিম নগর, সুতানলী ও লেছরাগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ হাজার ১৩টি পরিবার বিদ্যুতের আওতায় আসবে।
আগামীকাল সোমবার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের আইনউদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী ও পাশের তায়জদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ১৯৭টি পরিবারে বিদ্যুৎ–সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। বিকেল তিনটার দিকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে ফরিদপুর সদরের আইজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায়। উদ্বোধন করবেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পল্লী বিদ্যুতের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, চরবাসী কোনো দিন ভাবেনি, তার টেনে তাঁদের বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হবে। এত দিন তাঁরা সোলার লাইট দিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতেন। আজ তাঁদের তার টেনে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে, এটি চরবাসীর জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের কাজের প্রথম পর্ব আজ উদ্বোধন করা হবে ১৯৭টি পরিবারে বিদ্যুৎ–সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে।’