পঞ্চগড়ে মহাসড়কে কাঁচা চা–পাতা ফেলে প্রতিবাদ

জেলা চা–বাগান মালিক সমিতি ও পঞ্চগড় জেলা চা–চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে মহাসড়কে কাঁচা চা–পাতা ফেলে মানববন্ধন করেছেন কৃষকেরা। পঞ্চগড় জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে
ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে কাঁচা চা–পাতার ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চা–চাষিরা। চাষিরা কাঁচা চা–পাতা মহাসড়কে ফেলে দিয়ে দাম কমানোর প্রতিবাদ জানান। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা চা–বাগান মালিক সমিতি ও পঞ্চগড় জেলা চা–চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশে চাষিরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে পঞ্চগড় জেলা চা–বাগান মালিক সমিতি ও পঞ্চগড় জেলা চা–চাষি অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সাঈদ আলী, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পঞ্চগড় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শেখ মিলন, অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামানসহ স্থানীয় চা–চাষিরা বক্তৃতা করেন। জেলার বিভিন্ন এলাকার চা–চাষিরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে জেলার চা কারখানার মালিকেরা চাষিদের কাছ থেকে প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ২২ থেকে ২৬ টাকায় কিনেছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন ধরে আকস্মিকভাবে কাঁচা চা–পাতার দাম কমিয়ে দিয়ে ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি দরে কিনছেন। এই কম দামের মধ্যেও কারখানাগুলো চাষিদের কাছ থেকে কাঁচা পাতা কেনার সময় প্রতি কেজি কাঁচা পাতায় ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাদ দিচ্ছে। চা কারখানার মালিকেরা সিন্ডিকেট করে এভাবে চা–পাতার দাম কমিয়ে দিয়েছেন। এতে চা–পাতার উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না তাঁরা। এই সংকট সমাধানে তাঁরা চায়ের নিলাম বাজার স্থাপনের বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম আল মামুন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, চলতি মৌসুমে পঞ্চগড়ে কাঁচা চা–পাতার মূল্য নির্ধারণ হয়নি। গত মৌসুমের শেষ দিকে তৈরি চায়ের নিলাম বাজার অনুযায়ী নির্ধারণ করা প্রতি কেজি কাঁচা চা–পাতা ১৫ টাকা ৫০ পয়সা এখনো আছে। তবে বর্তমানে চাষিদের কাঁচা চা–পাতার দাম কমে যাওয়ার বিষয়টি তাঁরা জেনেছেন। চাষিরা পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ১৮ মে তাঁর কার্যালয়ে চা–চাষি, কারখানার মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি সভা আহ্বান করেছেন। আশা করা হচ্ছে, সেখানেই বিষয়টি সমাধান হবে।

এর আগে বুধবার বিকেলে একই দাবিতে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন করেছিলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার চা–চাষিরা।